দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভালোবাসার নেই কোন রঙ বা রূপ। হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয় ভালোবাসা। প্রিয়জনকে ভালোবাসতে বা তা প্রকাশ করতেও প্রয়োজন নেই কোনো নির্দিষ্ট ক্ষণ, দিন, মাস বা বছরের। এই কথাগুলো জানা আমাদের সবারই। সব কথার পরও গুরুত্ব বলে একটা কথা থেকে যায়। আর এই ভালোবাসার গুরুত্ব বা তাৎপর্যকে তুলে ধরতেই জন্ম হয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের।
সকলেই তাঁর প্রিয়জনদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে একটু অন্যভাবে। ফুল, কার্ড আর নানান উপহার সামগ্রীতে ভরিয়ে দেয় তারা প্রিয় মানুষটিকে ৷
চলছে ভ্যালেন্টাইন্স সপ্তাহ । সাতটা রকমারি ডে পেরিয়ে সব শেষে আসে ভ্যালেন্টাইন্স ডে । ভালোবাসার জন্য এই একটা দিন বিশেষভাবে বরাদ্দ। মানে ওই উদযাপন করা আর কী ৷ তবে কেউ তা মানতে রাজি, আবার কেউ মানতে নারাজ ৷ কারোর বেশ ভালোই লাগে একটা বিশেষ দিনে ভালোবাসার মানুষকে কিছু উপহার দিতে কিংবা তার সঙ্গে সারাদিন বিশেষ সময় কাটিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে । কারোর মতে আবার, ভালোবাসার জন্য আবার আলাদা দিন হয় নাকি ? প্রত্যেকটা দিনই ভালোবাসার । এর জন্য আলাদা দিন ধরে রাখার কোনও মানেই হয় না । তবে দিনটিকে ঘিরে সেলিব্রেশনে খামতি থাকে না এতটুকু ।
কীভাবে এই দিনটাকে সেলিব্রেট করে আজকের তরুণ-তরুণীরা ? ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিয়ে কী ভাবনা রয়েছে তাঁদের মনে তার খোঁজ নিল দেশের সময়।
দোকানে বসে শাড়ি দেখছিলেন এক তরুণী ৷ পাশেই দাঁড়িয়ে তরুণ ৷ তাঁদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই তরুণের উত্তর,” এই দিনে দু’জনে একসঙ্গে ঘুরতে যাই ৷ সঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনারটা একসঙ্গে সারি ৷ ব্যাস আমাদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে বলতে এটাই ৷” আর রইল বাকি উপহার দেওয়া ? এই বিষয়ে অবশ্য দু’জনেই একমত ৷ “ও যদি কিছু চায় তবে সেটা দেব নাহলে কিছুই নয় ৷ ওই শুধু ঘোরা আর খাওয়া-দাওয়া ৷”
এদিকে রবিবার বইমেলা চত্বরে ক্যামেরা দেখা মাত্রই প্রেমিকের পাশ থেকে সরে গেলেন প্রেমিকা ৷ অগত্যা প্রেমিক একাই বললেন,”রোজ ডে তে দেখাই হয়নি তো গোলাপ দেওয়া ৷ ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তেও কী করব এখনও কোনও প্ল্যান নেই ৷ ভ্যালেন্টাইন্স ডে সেভাবে আলাদা করে পালন করা হয় না ৷”
অন্যদিকে, কলেজের কয়েকজন ছাত্রীদের মতে, বাবা-মার মতো ভ্যালেন্টাইন্স আর কেউ হয় না ৷ তবে সকলের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল সপ্তাহব্যাপী ভালোবাসায় তেমন উদযাপন নেই তরুণতুর্কিদের ৷ তাঁরা প্রতিদিনের ভালোবাসাতেই স্বাচ্ছন্দ্য বেশি ৷ তবে উদযাপন করতে তো লাগে শুধু উপলক্ষ, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-যে এখন তেমনই একটা উপলক্ষ্য তা বলায় যায় ৷ ছবি দেবাশিস রায় ৷