পাকিস্তানে নিহত ! ভারতে পাঁচ বছরে তিনটি বড় নাশকতায় ‘মূলচক্রী’ ছিল পাক জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতা
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে দুষ্কৃতী হামলায় খতম কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি সইফুল্লাহ খালিদ। রবিবার সংবাদ সংস্থা সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। লস্কর-ই-তইবার -র শীর্ষ স্থানীয় নেতা ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাদিন জেলার মাতলি এলাকায় হামলার শিকার হন খালিদ। কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর মৃত্যু যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে কছে ওয়াকিবহল মহল।
২০০১-এ রামপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা, ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসে হামলা এবং ২০০৬-তে নাগপুরে আরএসএস সদর দফতরে হামলার মূল চক্রী ছিলেন এই সইফুল্লাহ। এই তিনটি হামলায় বহু মানুষ প্রাণ হারান।
সূত্রের খবর, ‘বিনোদ কুমার’ নামে ভুয়ো পরিচয়ে দীর্ঘদিন তিনি নেপালে ছিলেন। সেখানকার স্থানীয় মহিলা নাগমা বানুকে বিয়েও করেন। নেপাল থেকেই লস্করের হয়ে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালাতেন। এক্ষেত্রে মূলত তাঁর কাজ ছিল, নতুন সদস্য নিয়োগ ও জঙ্গি তৎপরতার জন্য লজিস্টিক সাপোর্টের কাজ দেখা।
কয়েক বছর আগে নেপাল থেকে তিনি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাদিন জেলার মাতলি এলাকায় ঘাঁটি গাড়েন এবং সেখান থেকেই লস্কর-ই-তইবা ও তাদের শাখা সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া -র হয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মূলত সদস্য সংগ্রহ ও অর্থ সংগ্রহে তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাঁর মৃত্যু নিয়ে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য আসেনি। তবে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ঘটনাটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে। সইফুল্লাহ খালিদের মতো কুখ্যাত একজন জঙ্গির মৃত্যু লস্করের জন্য এক বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।