দেশের সময়, বনগাঁ: ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ দাসের অকাল প্রয়াণের কারণে এই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২১ আগস্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর তাকে কেন্দ্র করেই এখন সরগরম বনগাঁর রাজনীতি। ইতিমধ্যেই সিপিএম এবং বিজেপি সাংবাদিক বৈঠক করে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। আজ বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন৷
অবশেষে তৃণমূলের নবনিযুক্ত বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস দেশের সময়-কে জানান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা পাপাই রাহা-কে প্রার্থী করা হয়েছে৷ আজ সকাল ১১টায় ওয়ার্ড থেকে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতেযাবেন প্রার্থী । এদিন সকাল থেকেই সোস্যাল মিডিয়ায় তাঁকে দলীয় কর্মীরা অভিনন্দন জানাতে শুরু করেন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাম সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী এবং বিজেপি প্রার্থী।
মঙ্গলবার সিপিএমের বনগাঁ শহর কমিটির দলীয় কার্যালয় থেকে দলীয় নেতা, কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করে গিয়ে বনগাঁ মহকুমা শাসকের দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দেন সিপিএম প্রার্থী ধৃতিমান পাল।
উল্লেখ্য, শেষ পুর নির্বাচনে প্রায় ৯০০ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী। সেক্ষেত্রে রিগিং এর অভিযোগ তুলে প্রার্থী ধৃতিমান বাবু ফের দাবি করেন, স্বচ্ছভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি জয়লাভ করবেন।
মঙ্গলবারই মনোনয়নপত্র জমা দেন বিজেপি প্রার্থী অরূপ পাল। সঙ্গে ছিলেন দলের বনগাঁ উত্তর এবং দক্ষিনের বিধায়ক যথাক্রমে অশোক কীর্তনিয়া এবং স্বপন মজুমদার। ছিলেন দলের জেলা সভাপতি রামপদ দাস এবং অন্যান্য কার্যকর্তারা।
এদিকে বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চরম গোপনীয়তা বজায় রাখলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আগে থেকে নাম প্রকাশ করলে দলের অভ্যন্তরে কলহ বাধতে পারে, এই আশঙ্কায় নাম প্রকাশ করা হয় নি বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বিজেপি-র বিধায়ক তথা তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বর্তমান সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের অত্যন্ত স্নেহভাজন প্রার্থী পাপাই দীর্ঘদিন পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দলের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে পরিচিত মুখ৷ পাপাই জানান তিনি এই প্রথম কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মানুষের প্রকৃত উন্নয়নের কাজে নিজেকে সর্বক্ষণ যুক্ত রাখব। স্থানীয় মানুষের আশীর্বাদ আমার সঙ্গে আছে তাঁরই আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন৷
উল্লেখ্য, এই ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ দাস প্রয়াত হওয়ার পর থেকেই এই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে কে দলের প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। দলের বিশেষ দুএকজনের নাম উঠে আসে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা একজনের নাম প্রস্তাব করে তা সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেন।
এই পরিস্থিতিতে দল শেষ পর্যন্ত কাকে প্রার্থী করছে, তা নিয়ে চরম গোপনীয়তা বজায় রাখে দলীয় নেতৃত্ব। কারণ হিসেবে আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয় যে, আগে থেকে নাম প্রকাশ্যে চলে এলে দলের ভেতরেই কলহ তৈরি হতে পারে। আর সেই আশঙ্কায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এব্যাপারে দল গোপনীয়তা বজায় রাখে। মঙ্গলবার গভীররাত পর্যন্ত তৃনমূলের কোন স্তরেই প্রার্থীর নাম কারো মুখে শোনা যায়নি ৷ অবশেষে বুধবার সকালে প্রার্থীর নাম প্রকাশ হতেই কর্মীরা প্রচারে নেমেছে কোমর বেঁধে৷