দেশের সময়, কলকাতা: রাত পোহালেই ২১ জুলাই।
বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠকের পর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চের দিকে নজর গোটা রাজ্যের। বিরোধী জোট নিয়ে শুক্রবার কী বার্তা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো, তা নিয়ে শুধু দলের অন্দরেই চাপা উন্মাদনা নয়। বিরোধী শিবিরও মুখিয়ে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি, জেডিইউয়ের মতো ২৬টি দল সম্প্রতি বৈঠক করেছে বেঙ্গালুরুতে। তৈরি হয়েছে জোট ‘ইন্ডিয়া’। কিন্তু সর্বভারতীয় রাজনীতিতে জোটের মুঠি শক্ত হলেও, আঞ্চলিক রাজনীতিতে তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএমের মধ্যে অবস্থানের ছবিটা কেমন হবে, তা নিয়ে জোর চর্চা।
ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকেরা। পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের পর এই সমাবেশ। স্বাভাবিকভাবে সমাবেশ ঘিরে কর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো। এমন আবহে প্রতিবারের মতো এবারও বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভিডিও বার্তায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে সব রাজনৈতিক দলকে আসার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
এদিন দুপুরে কয়েক মিনিটের ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী দলের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে আমরা অনেক কর্মীকে হারিয়েছি। তাদের আত্মবলিদানকে শ্রদ্ধা জানাতেই প্রতি বছর আমরা ২১ জুলাই শহিদ স্মরণের আয়োজন করি। চারিদিক থেকে যে খবর পাচ্ছি, তাতে প্রচুর সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হবেন কালকের সমাবেশে। তাই সকলকে বলব, তাড়াহুড়ো করবেন না। এমনিতেই বর্ষার আবহাওয়া। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে প্রত্যেককে।
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শুধু যারা তৃণমূল করেন, তাদেরই নয়, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে সব রাজনৈতিক দলকে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন, ২১ জুলাই প্রত্যক্ষ করে যান।”
বিরোধীরা নানা সময় তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সরব হন। কটাক্ষের সুরে তাঁরা বলে থাকেন, উনি তো বাংলার সকলের মুখ্যমন্ত্রী নন, শুধুই তৃণমূলের। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের মন্তব্য আসলে তারই জবাব বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
বস্তুত, ২১শে জুলাইয়ের শহিদ দিবসকে ঘিরে গতকাল বুধবার থেকেই বিভিন্ন জেলার মানুষ কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন। দলের তরফে বিভিন্ন পয়েন্টে কর্মীদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে সভাস্থলের। এলাকা জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সভাস্থলের আশে পাশে লাগানো হয়েছে প্রচুর সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়া ড্রোন দিয়েও চলবে নজরদারি। সভা শুরুর ২৪ ঘন্টা আগে থেকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে সভাস্থলের আশেপাশে।