দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ‘এক ব্যক্তি এক পদ’, মদন মিত্র, আই–প্যাকের প্রশান্ত কিশোর।
মমতার ডাকা বৈঠকের পর সব প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। শনিবার সকাল থেকেই রাজনৈতিক মহলে এই ছিল গুঞ্জন, টেলিভিশনেও চলছিল লাইভ সম্প্রচার। কিন্তু কালীঘাটে দলনেত্রীর বাড়িতে ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে কী কী বিষয় আলোচনা হল–তা সাংবাদিক বৈঠকে খোলসা করলেন না তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের পার্থ জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি গঠিত হয়েছে।’ সেই তালিকায় ২০ জন থাকলেও এদিন ১৬ জনের নাম ঘোষণা করেন পার্থ। তালিকার ৬ নম্বর নামটিই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
দলের ভিতরে যে একটা পাওয়ার স্ট্রাগল তথা ক্ষমতা নিয়ে লড়াই চলছিল তা জলের মতই স্বচ্ছ ছিল। শেষমেশ সমীকরণ কী দাঁড়াল তা এখনই পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে শনিবার বিকেলে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে অভিষেক-পার্থ-সুব্রত বক্সীদের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হল।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মোট ২০ জনের কর্মসমিতি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মোট ১৬ জনের নাম ঘোষণা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হলেন— অমিত মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায় , সুব্রত বক্সী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় , অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বুলুচিক বরাই, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুখেন্দুশেখর রায়, অসীমা পাত্র, মলয় ঘটক, রাজীব ত্রিপাঠী, অনুব্রত মণ্ডল এবং গৌতম দেব।
তালিকায় মুকুল রায়ের নাম না রাখার অবশ্য সুস্পষ্ট কারণ রয়েছে। তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের পর এই কর্মসমিতির তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। কর্মসমিতিতে মুকুল রায়ের নাম রাখলে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া অনিবার্য হয়ে উঠবে।
উল্লেখযোগ্য, এদিনের ঘোষিত ১৬ জনের তালিকায় নেই বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের নাম। পার্থ জানান, কাকে কী পদ দেওয়া হবে, তা দলনেত্রী ঠিক করবেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দল হওয়ার সুবাদে এই নামের তালিকা এবং পদাধীকারীদের নাম পাঠানো হবে নির্বাচন কমিশনেও।’
যে বৈঠকের দিকে দিনভর নজর ছিল গোটা রাজ্যের, সেই বৈঠকে শুধু জাতীয় কর্মসমিতি ঘোষণা! বৈঠক থেকে বেরিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কর্মসমিতি ছাড়া আর কোনও বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়নি। তৃণমূল সূত্রের খবর, সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া শীর্ষস্তরের সব পদের আপাতত অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছে। তবে কী নতুন পথে হেঁটে ফের সাংগঠনিক রদবদল হচ্ছে তৃণমূলে?