
অপারেশন সিঁদুরের পর পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে গোটা দুনিয়াকে বার্তা দিতে চায় নয়াদিল্লি। সেজন্য বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বার্তা বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দিতে ভারত যে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে, তার প্রতিনিধি হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের প্রস্তাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিনিধি হিসেবে সাংসদ ইউসুফ পাঠানের নাম তুলে নেওয়ার পর এবার অভিষেকের নাম জানানো হল তৃণমূলের তরফে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ফোন করে মমতার কাছে জানতে চান, তিনি কাকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাবেন। উত্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলেন মমতা।

৭ সাংসদের নেতৃত্বে মোট ৪২জনের প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ভারত। আমেরিকা, রাশিয়া সহ বিশ্বের একাধিক দেশে গিয়ে সেই প্রতিনিধিরা জানালেন অপারেশন সিঁদুরের কথা। পাশাপাশি পাকিস্তানের মাটিতে কীভাবে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলে, সে কথাও জানাবে ওই দল। রাজনীতির উর্ধ্বে দেশের স্বার্থে এই প্রতিনিধিদল তৈরি করা হয়েছে। বলা বাহুল্য, এটি একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ প্রতিনিধিদল।

মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিনিধি হিসেবে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের নাম বেছে নিয়েছেন মমতা। দলের বক্তব্য, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান কী, সে কথা স্পষ্ট করে দিতে পারবেন অভিষেক।

https://x.com/AITCofficial/status/1924732583776289182?t=KQb10_d9PknZiuYyIY26Ig&s=19
প্রাথমিকভাবে বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের নাম প্রস্তাবিত হয়েছিল। সেই মতো তাঁর যাত্রার ব্যবস্থাও করতে শুরু করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু সোমবার ইউসুফের নাম তুলে নেওয়া হয়। মমতা স্পষ্ট জানান, এটা দলের সিদ্ধান্ত। দলকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি বলেও দাবি করেছিলেন মমতা। এরপরই মমতার কাছে এল ফোন।
শুধু তৃণমূল নয়, কংগ্রেসের সঙ্গেও একই রকমের আচরণ করেছিল কেন্দ্রের সরকার। প্রতিনিধি দলে সামিল করার জন্য সাবেক জাতীয় দলের কাছ থেকে নাম চেয়েছিল সরকার। কংগ্রেস চার জনের নাম পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই চার জনের কাউকে দলে সামিল না করে সরকার এক তরফা ভাবে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরকে ওই প্রতিনিধি দলে সামিল করে। সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করলেও কংগ্রেস অবশ্য শেষমেশ কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়।

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বিজেপির বোঝা উচিত ছিল তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলনায় অনেক শক্তি মাটি। কংগ্রেস বরদাস্ত করলেও তিনি এটা মেনে নেবেন না। শেষমেশ তৃণমূলের সঙ্গে তাই আলোচনা করতেই হল কেন্দ্রকে।