

বনগাঁ :“লবিবাজির জন্য পদ পাইনি।” দলীয় পদ থেকে বঞ্চিত হতেই দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল রায়। দিন দুয়েক আগে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ দাসকেই ফের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করেছে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। অন্যদিকে, নতুন চেয়ারম্যান করা হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরকে।

কেন তাঁকে চেয়ারম্যানের পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শ্যামল রায়। শ্যামলবাবু দীর্ঘ এক দশক ধরে জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। অতি সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিটি সংগঠনিক জেলায় কিছু ক্ষেত্রে রদবদল হয়েছে। বর্তমান বনগাঁ সংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন পদ পেয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর।

ওই পদেই আগে ছিলেন শ্যামল রায়। এদিন তিনি বলেন, “দল যেটা ভালো বুঝেছে, করেছে। আমি দলের সঙ্গেই আছি।” এরপরেই কটাক্ষ ছুঁড়ে বলেন, “তৃণমূলের লবির জন্য হয়তো পদ পাইনি। তৃণমূলের পুরনো যারা আছেন, তাঁরা দলটাকে ভালবাসেন। আর নতুন যারা আছেন, তাঁরা দল না, টাকাকে ভালোবাসেন ।”

শ্যামল রায়ের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “উনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ আছেন। আবেগপ্রবণ হয়ে হয়তো এমন কথা বলে ফেলেছেন। দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের সকলের ভালোর জন্য নিয়েছে।” জেলার নবনিযুক্ত চেয়ারপার্সন মমতা ঠাকুর বলেন, “এটা দলের সিদ্ধান্ত। দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা আমাদের মেনে নিতে হবে। শ্যামলবাবু অনেক ভালো মানুষ। কাউকে বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না। ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস একসঙ্গে কাজ করবে। সবাইকে নিয়ে কাজ করবে।”

যদিও এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কটাক্ষ করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূল বিরোধীদের বক্তব্যে কান দিতে রাজি নয়।