Tmcদলের নির্দেশ সত্ত্বেও বনগাঁ পুরসভার পুর প্রধান পদ ছাড়েননি গোপাল শেঠ ,দলীয় নির্দেশ অমান্যের অভিযোগ তুলে চিঠি পাঠানো হচ্ছে পুরসভার চেয়ারম্যান’কে , কোন পথে হাঁটবে দল?

0
14
অর্পিতা বনিক , দেশের সময়

কোনও দাদা দিদি ধরে লাভ হবে না, শেষ কথা বলবে পারফরম্যান্স। ২০২৪ সালের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশে এমনই সতর্কবার্তা শুনিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সতর্কবার্তা যে শুধু কথার কথা ছিল না, তা টের পাওয়া গেল এ বার। যা নিয়ে জেলা রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে শাসক দলের অন্দরে।

এ বার বনগাঁর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চিঠিচাপাটি পর্ব শুরু। দলীয় নির্দেশ অমান্যের অভিযোগ তুলে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে। যে হেতু দলের নির্দেশের পরেও চেয়ারম্যান পদ থেকে গোপাল ইস্তফা দেননি, তাই এই চিঠি দেওয়া হলো তাঁকে। তবে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এখনও মুখ খোলেননি গোপাল শেঠ। তবে উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘আমি দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে আজ দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তরফে চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছি।’

ব্লক, টাউন স্তরে আগেই সাংগঠনিক রদবদল করেছে তৃণমূল। এ বার পুরসভার প্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে তারা। একাধিক পুরসভায় বদল হয়েছে পুরপ্রধান। উত্তর ২৪ পরগনার গুরুত্বপূর্ণ দুই পুরসভা বারাসত ও বনগাঁয়ও বদল হচ্ছে। তবে বারাসতে এই প্রক্রিয়া যতটা সহজ হয়েছে, বনগাঁয় ততটা নয়।

দলের নির্দেশ শিরোধার্য করে বৃহস্পতিবারই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বারাসতের পুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার বোর্ড অফ কাউন্সিলের মিটিংয়ের পরে সুনীল মুখোপাধ্যায়কে নয়া পুরপ্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পদ ছাড়েননি বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা না দেওয়ায়, গোপালের বিরুদ্ধে দলীয় নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠছে।

বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘বনগাঁ পুরসভা সম্পর্কিত ঘটনায় ১৭ জন কাউন্সিলারকে নিয়ে আজ বৈঠকে বসেছিলাম। ৬ নভেম্বর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের জন্য দলীয় নির্দেশ এসেছিল। ৮ তারিখ হয়ে গেলেও চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেননি। আমরা সকলেই এক মত যে, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা মেনে নেবো।’

জেলা নেতৃত্বের তরফে গোপাল শেঠকে সাতদিনের মধ্যে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। তবে ওই সময়সীমার মধ্যে পদত্যাগ না করলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। যদিও এই বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে হঠাৎ কেন এই রদবদল? দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই এই রদবদল। দল নিশ্চয় বিবেচনা করেই করেছে। আশা করা যায়, এতে দলের ফল সংশ্লিষ্ট পুর এলাকায় আগামী দিনে অনেকটাই ভালো হবে।

তথ্য বলছ, বনগাঁ পুরসভাতেও গত লোকসভার নিরিখে ২২টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে হেরেছিল তৃণমূল। সীমান্ত শহর বনগাঁতেও নাগরিক পরিষেবা থেকে বেআইনি অটো-টোটোর দাপাদাপি, যত্রতত্র হকার বসে পড়া নিয়েও মানুষের বিস্তর ক্ষোভ ছিল। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দল এবং দলের হয়ে ভোট কুশলী সংস্থার কাছে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। পদ খুইয়ে তারই মাশুল গোপাল শেঠকে দিতে হলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।  যদিও পুরপ্রধান এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি ।

Previous articleকাঁটাতারের কাছে অশ্বখুরাকৃতি  হ্রদ,এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য রয়েছে কলকাতার অদুরেই: দেখুন ভিডিও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here