দেশের সময় ,তারকেশ্বর: চোর সন্দেহে বেধড়ক মারের জেরে যুবকের মৃত্যু হুগলির তারকেশ্বরেও। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ মান্না। তিনি পেশায় গাড়িচালক। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
পরিবারের দাবি, এলাকায় একটি গাড়ি চুরি যাওয়ার পর রবিবার রাতে বিশ্বজিতকে এলাকার কয়েকজন বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। বিশ্বজিতের মা বলেন, “বারবার ওদের পা ধরে আকুতি মিনতি করেছি। বারবার বলেছি আমার ছেলে চুরি করতে পারে না। আমার কোনও কথাই শোনা হয়নি। ছেলেটাকে মারতে মারতে মেরে ফেলল।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেধড়ক মারে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন বিশ্বজিৎ। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে রাত দুটো নাগাদ তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় বিকাশ সামন্ত, তাঁর ছেলে দেবকান্ত সামন্ত ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে তারকেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত বিকাশ ও তাঁর ছেলে দেবকান্তকে আটক করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিশ। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
শনিবারই হুগলির পাণ্ডুয়ায় সামান্য বচসার জেরে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় এক যুবককে। পান্ডুয়ার দ্বারবাসিনীর সেই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দ্বারবাসিনীর গরুইগেড়ে গ্রামের বাসিন্দা আশিস বাউল দাস(২৬) বন্ধুদের সঙ্গে বিষহরিতলার মেলা দেখে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গমুকপাটি এলাকায় মনসা পুজোর মাইক বাজানো নিয়ে একটা গন্ডোগোল চলছিল। সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় আশিসের গায়ে ধাক্কা লাগে এক গ্রামবাসীর।
সেই নিয়ে বচসা তর্কাতর্কি শুরু হয়। অভিযোগ, আশিসকে বাইক থেকে কলার ধরে টেনে নামিয়ে মারধর করা হয়। বুকে লাথি মারা হয় রাস্তায় ফেলে। বন্ধু তাঁকে ছাড়িয়ে কোনও ভাবে বাড়ি নিয়ে যায়। রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। শুক্রবার রাতে রক্ত বমি শুরু হওয়ায় পান্ডুয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আশিসকে। সেখান থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে রেফার করা হয়। অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাঁকে আইসিইউতে দিতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু বেড না থাকায় কল্যাণীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথেই মৃত্যু হয় আশিসের।