National Youth Day Celebrations: অনুপ্রেরণা হোক স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা, এই লক্ষ্যেই শুরু হয়েছিল জাতীয় যুব দিবস স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবসে পালন করা হয় এই দিনটি। ১৯৮৪ সালে প্রথমবার ভারত সরকার দিনটি পালন শুরু করে।
উনিশ শতকের চোখধাঁধানো ধর্ম ও সমাজ ভাবনা। শতাব্দী বদলালেও, বদল হয়নি সেই প্রেক্ষাপটের। গোটা দেশের নিরিখে তাই আজও প্রাসঙ্গিক স্বামী বিবেকানন্দ। আজ ১৬২-তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হল বীর সন্ন্যাসীকে। উৎসব মুখর হয়ে উঠল বেলুড় মঠ-সহ অন্যান্য রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনও।
এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন। বেলুড় মঠ ও সিমলা স্ট্রিটে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্যজুড়েই অনুষ্ঠানের আয়োজন। দিনটি বিবেক চেতনা উৎসব হিসেবে পালন করছে রাজ্য সরকার ৷ দেখুন ভিডিও
সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন। বেলুড় মঠ ও সিমলা স্ট্রিটে ভক্তদের ভিড়। স্বামীজীর জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে সিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দের বাড়িতে আসেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শশী পাঁজা, শুভেন্দু অধিকারী।
বিশ্ববরেণ্য বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির জন্মভূমিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন সনাতনের সেবক, তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
স্বামীজীর জন্মদিন উপলক্ষে জমজমাট বেলুড় মঠও। পিকনিকের মুডে ছাত্রছাত্রীরা।
জন্মদিন নয়, বেলুড় মঠে পালন করা হয় বিবেকানন্দর জন্মতিথি। তবু আজ যুব দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা থেকে শোভাযাত্রা করে মঠে আসেন ছাত্রছাত্রীরা। তাদের জলখাবারের ব্যবস্থা করে মঠ। মূল মন্দিরে আলাদা করে পুজো চলছে স্বামী বিবেকানন্দর। অস্থায়ী মঞ্চে দিনভর স্বামীজিকে নিয়ে চলছে আলোচনা। স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্যজুড়েই অনুষ্ঠানের আয়োজন। দিনটি বিবেক চেতনা উৎসব হিসেবে পালন করছে রাজ্য সরকার।
শিলিগুড়ি পুর নিগমের ৩৩ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হল।
শিলিগুড়ি পুর নিগমের ৩৩ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হল। আজ সকালে মেয়র গৌতম দেব শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করলেন। তার সাথে সাথে উপস্থিত ছিলেন ওই ওয়ার্ডের সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। মেয়রের সাথে উপস্থিত ছিলেন ওই ওয়ার্ডের সকল সাধারন নেতৃত্ব। মেয়র জানান আমাদের কাজ তার আদর্শকে মাথায় নিয়ে চলা। সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর পরিবর্তন হয়ে যায় আর আমাদের দরকার স্বামীজীর বানী এবং আদর্শ। তাই আজকে তার জন্মদিনে তার কথা যদি আমরা মেনে চলি তবে সেটাই হবে আমাদের সবচাইতে বড় পাওনা। আজকে স্বামীজীর কথা এবং বানীকে আমরা যদি আমাদের সম্পদ ভেবে নিই তবে সেটিই আমাদের কাছে অনেক অনেক মুল্যবান সম্পদ।
উদ্বোধনী সংগীত, বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ, স্বদেশ মন্ত্র পাঠ, গীতিআলেখ্য, যোগব্যায়াম প্রদর্শন সহ একগুচ্ছ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকেই মঠের ব্রহ্মচারী, মহারাজ, মঠ ও মিশনের ছাত্ররা এবং বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে স্বামীজির মন্দির, বাসভবন এবং মূল মন্দির প্রাঙ্গন প্রদক্ষিণ করে। দিনভর চলবে শাস্ত্রপাঠ ও হোমযজ্ঞ। বহু ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের জন্য ভোগের আয়োজন করা হয়েছে।
মূল মন্দিরের পাশে অস্থায়ীভাবে নির্মিত মন্ডপে সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান । সকালে রামকৃষ্ণ মিশনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন স্কুল এবং ক্লাবের তরফে স্বামীজীর প্রতিকৃতি নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বেলুড় মঠে আসে। সব শোভাযাত্রাই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মন্দিরে প্রণাম জানিয়ে, স্বামীজিকে প্রণাম নিবেদন করে বেলুড় মঠ চত্বর প্রদক্ষিণ করে । এরপর সকলে জড়ো হন মন্দিরের পাশে অস্থায়ীভাবে নির্মিত মণ্ডপে।
বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং আধ্যাত্মিক নেতাদের একজন স্বামী বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda)। তাঁর জন্মবার্ষিকী স্মরণে প্রতি বছর ১২ জানুয়ারি জাতীয় যুব দিবস (National Youth Day) বা রাষ্ট্রীয় যুব দিবস উদযাপিত হয়। স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রথম জীবনে তাঁর নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত, পরে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের সংস্পর্শে এসে বেছে নেন আধ্যত্মিকতার পথ, তারপরে সারা বিশ্ব তাঁকে চেনে স্বামী বিবেকানন্দ নামে।
১৯৮৪ সালে প্রথম ভারত সরকার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীকে জাতীয় যুব দিবস হিসাবে উদযাপন করার ঘোষণা করে। উদযাপনের উদ্দেশ্য হল ভারতীয় যুবকদের স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা, জীবনধারা এবং চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত করা। যুবকদের কঠোর পরিশ্রম করা, একাগ্রতা, পড়াশোনা এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাঁদের অবদান রাখার বিষয়ে সচেতনতার বার্তা দেয় এই দিনটি।
এই বছরের জাতীয় যুব দিবসের থিম ‘সঙ্কল্প থেকে সিদ্ধি’, ‘ইউথ ফর ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, ‘ইন্ডিয়ান ইউথ ফর ডেভেলপমেন্ট, স্কিল অ্যান্ড হারমনি’।
এই বছর ২৭তম জাতীয় যুব উৎসবের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মহারাষ্ট্রের নাসিকে হবে উৎসবের সূচনা। এই দিনে ১ লক্ষ যুবকের উদ্দেশে বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিংহ ঠাকুর। এদিন সারা দেশের ৭৬৩টি জেলায় জেলাস্তরে বড় করে অনুষ্ঠান হবে, শ্রদ্ধা জানানো হবে স্বামী বিবেকানন্দকে, জানিয়েছেন PIB ৷
প্রধানমন্ত্রীর বার্তা:
জাতীয় যুব দিবসের দিন স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। X হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা এবং সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বামী বিবেকানন্দের অবদানের স্মরণ করেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দকে শত প্রণাম, তিনি ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা এবং সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাঁর ভাবনা, বার্তা সবসময় দেশের যুব সম্প্রদায়কে কিছু করে দেখানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করে।’