দেশের সময়, কলকাতা: স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১তম জন্মদিন পালন হতে চলেছে তাঁর পৈতৃক আবাস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে । আগামী ১২ জানুয়ারি দেশ জুড়ে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম উৎসব পালিত হবে। স্বামীজির জন্মোৎসব নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বরাবরই তুমুল উৎসাহ থাকে। প্রতিবছরই এই দিনে ভক্তদের ঢল নামে সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির জন্মভিটেয় এদিন মঙ্গলারতি দিয়ে দিনের শুরু হয়। সকালে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান সূচী রইল নীচে :
স্বামীজির জন্মদিন ও জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে এদিন সকাল ৯ টায় বিশেষ শোভা যাত্রার আয়োজন করা হবে। ১০ টায় ভক্তিগীতি গাইবেন শ্রী অরিএ দাশগুপ্ত । ১১টায় বিবেক গীতি: স্বামী শিবাধীশানন্দ। দুপুর ১২:৩০ বংশী বাদন: শ্রী অনির্বাণ রায়, ভক্তিগীতি শ্রী শুভঙ্কর ভাষ্কর , দুপুর ৩টে ধর্মসভা, বিষয় : স্বামীবিবেকানন্দের জীবন ও বাণী, বক্তা : স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ ও শ্রী শক্তি প্রসাদ মিশ্র ৷ বিকাল ৫টা: সেতার বাদন: শ্রী সুজয় বসু ৷ সন্ধ্যা ৬টা সান্ধ্য প্রার্থনা, সন্ধ্যা ৭টা ভজন: শ্রী বিশ্বরুপ রুদ্র। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন সায়ন দাস৷
ওঠো, জাগো এবং লক্ষ্যে না-পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না’, স্বামী বিবেকানন্দের বাণীই হোক পাথেয়:
১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন স্বামী বিবেকানন্দ। বর্তমানে দেশজুড়ে ‘জাতীয় যুব দিবস’ হিসেবে তাঁর জন্মদিন পালিত হয়। শুধু ভারতবর্ষ নয়। তাঁর বাণী, অনুপ্রেরণায় ভর করেই এগিয়ে চলেছে জাতি। সেই বাণীই হোক আজ আমাদের জীবনের পাথেয়।
স্বামীজির বাণী:
বিবেকানন্দের মতানুসারে, রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে পাওয়া তার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হচ্ছে শিব জ্ঞানে জীব সেবা। তাই তিনি বলেছেন- মানুষের সেবা করা হচ্ছে ঈশ্বরের সেবা করা।
যুবসমাজের জন্য তাঁর সেই যুগাতীত বাণী- ‘জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না-পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না। আজও একইভাবে জাগ্রত করে তোলে।
বিবেকানন্দের কথায়, “নিজের উপর বিশ্বাস না এলে … ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।”
“সত্যের জন্য সব কিছুকে ত্যাগ করা চলে, কিন্তু কোনো কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা চলে না।”
“যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে; আর যদি না চাও তাহলে অজুহাত পাবে।”
- কিছু প্রার্থনা করো না বা এড়িয়ে যেও না। যা এসেছে তাকেই গ্রহণ কর।
- কারও নিন্দা কোরো না। যদি কাউকে সাহায্য করার ক্ষমতা থাকে, তবে কর। যদি না পার, হাতজোড় কর, আশীর্বাদ কর, সকলকে নিজেদের পথ খুঁজে নিতে দাও।
- পাল্টা কখনও কিছু চেও না। তোমার যা আছে দাও। তা তোমার কাছে ফিরে আসবে কিন্তু এখনই তার কথা ভেব না।
- যে আগুন আমাদের উষ্ণতা দেয়, তাই আমাদের গ্রাস করে। এটা আগুনের দোষ নয়।
- তোমাকে অন্তঃস্থল থেকে বড় হতে হবে। কেউ কিছু শেখাতে পারে না, কেউ তোমাকে আধ্যাত্মিক করে তুলতে পারবে না। নিজের আত্মার থেকে বড় আর শিক্ষক নেই।
- আত্মার পক্ষে কোনও কিছু অসম্ভব নয়। পৃথিবীতে পাপ বলে যদি কিছু থাকে, তবে আসল পাপ হল দুর্বলতা, নিজেকে বা অন্যকে দুর্বল ভাবা।