দেশের সময় : আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার কাছে ল্যান্ড ফল করার প্রবল সম্ভাবনা। দানার আগমন ঘিরে ওড়িশার পাশাপাশি বাংলাতেও জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা।
রাজ্যের দাবি সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। যদিও রাজ্যের এই অভিযোগ উড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, “ওড়িশা সরকার যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে সেই রকমভাবে প্রস্তুতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার নিতে পারেনি।”
দেখুন ভিডিও
নিজের দাবির সপক্ষে শুভেন্দুর দাবি, “রাজ্য সরকারের অর্থ নেই। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেভাবে অর্থ বরাদ্দ করেনি রাজ্য। পর্যাপ্ত খাবার, রেসকিউ সেন্টারগুলির প্রস্তুতি, গবাদি পশুদের সংরক্ষণ এসব অ্যারেঞ্জমেন্ট এর মধ্যে নেই।”
যদিও এদিন বিকেলেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় মোট ৮৫১টি ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৮৩ হাজার ৫৮৩ জন। উপকূলবর্তী এলাকাতে নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও মানুষকে ক্যাম্পে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে। এমনকী রাতভর নবান্নে থেকেই গোটা দুর্যোগের মনিটরিং করার কথাও জানিয়েছেন মমতা। দেখুন ভিডিও
বিরোধী দলনেতার অবশ্য দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম-সহ উপকূল জুড়ে বেশ কয়েকটি এলাকায় তিনি নিজ উদ্যোগী হয়ে রেসকিউ সেন্টার চালু করেছেন। সেখানে পর্যাপ্ত খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাছ কাটার মেশিন, ব্যাটারি চালিত টর্চ, ত্রিপল, ৫০০ জনের রেস্কিউ টিম রাখা হচ্ছে। শুভেন্দু বলেন, এনডিআরএফ চাইলে তাদের নির্দেশ মতো কর্মীরা সহযোগিতা করবে।
শুভেন্দু এও বলেন, “এক্ষেত্রে রাজনীতির উর্ধে উঠে সকলকে বলব, দানার মোকাবিলায় এগিয়ে আসুন।”