রাতেই মৃত্যু হয় সাতজনের। মঙ্গলবার সকালে আরও একজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ঢোলাহাটের বিস্ফোরণ-কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আট। এদিন সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক মহিলার। এই ঘটনার পর বিরোধীদের একটাই প্রশ্ন, লোকালয়ের মাঝে কীভাবে মজুত করা ছিল বাজি! পুলিশের নাকের ডগায় কীভাবে চলত এসব? শাসক দল কি কিছুই জানত না?
সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকা বিকট শব্দ শোনা যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানার রায়পুরের তৃতীয় ঘেরি এলাকায়। অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার বণিক পরিবারের আট সদস্যের। যাঁদের মধ্যে রয়েছে দু’জন সদ্যজাত-সহ চার শিশুও।
ঢোলাহাটের ঘটনাই রাজ্যে প্রথম নয়, বেআইনি বাজি বিস্ফোরণে বাংলার তালিকাটা দীর্ঘ। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে ঘটনার গোটা দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই চাপালেন শুভেন্দু অধিকারী । নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা লেখেন, “২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কল্যাণীতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ২ মাসেরও কম সময়ের মধ্যেই ফের আরও একটি বিস্ফোরণের ঘটনা। ভূপতিনগর, এগরা, বজবজ, কল্যাণী… তালিকাটা দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে।

রাজ্যের তরফে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আরও কত দুর্ঘটনা ঘটবে? আগামী কালই সম্ভবত নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হবে। মানুষ আজকের এই ঘটনাটি ভুলে যাবে যতক্ষণ না পরবর্তী দুর্ঘটনা ঘটছে। বাংলায় কেন বারে বারে এই একই ধরণের ঘটনা ঘটছে তার কোনও জবাব নেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে। বারে বারে একই ঘটনার জন্য ‘অদক্ষ পুলিশ মন্ত্রী’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী।”

https://x.com/SuvenduWB/status/1906784563273027965?t=Mhrh-SftcE9OopKSitRZSQ&s=19

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলকে দুষে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “এটা কি আসলেই কেবল একটি আতশবাজি কারখানা? নাকি আরও একটি নাকি তৃণমূল সমর্থিত বোমা তৈরির আস্তানা? পুলিশ কেন নীরব? মমতা সরকারের ‘চটি চাটারা’ কেন সত্য লুকানোর চেষ্টা করছে? তৃণমূল সরকারের মদতে কেন অবৈধ বোমা কারখানাগুলির এত রমরমা?”

তিনি আরও লেখেন, “একদিকে, তুষ্টির রাজনীতি এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ভারতের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। অন্যদিকে, বাংলা অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকে ভরে যাচ্ছে, সবই শাসক দলের আশ্রয়ে। এই “মৃত্যুর খেলা” অবশ্যই শেষ হতে হবে! বাংলার সন্ত্রাস ও রক্তপাত নয়, আইনের শাসন ফেরাতে হবে। মমতা ব্যানার্জি আর কতদিন সাধারণ মানুষের চেয়ে অপরাধীদের সুরক্ষা প্রদান করবেন? বাংলা জেগে ওঠার আগে আর কত নিরীহ মানুষের জীবন এভাবে চলে যাবে?”
