দেশের সময় ওয়েবডেস্ক সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বতী রায়ে বড় রকমে স্বস্তি বোধ করছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় প্রাপ্তির পর আমি বাস্তবিকই খুব খুশী এবং মানসিকভাবে তৃপ্ত। সমগ্র শিক্ষক সমাজকে জানাই আমার অভিনন্দন এবং মাননীয় সুপ্রিম কোর্টকে জানাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা”
🙏
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 7, 2024
I am really very happy and mentally relaxed on receipt of justice at the highest Court of the land. Congratulations to the entire teaching fraternity and my humble regards to the Hon'ble Supreme Court of India.
🙏
সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় প্রাপ্তির পর আমি বাস্তবিকই খুব খুশী এবং…
পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যেই পরিষ্কার যে লোকসভা ভোটের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে অক্সিজেন পেল তৃণমূল। তা ছাড়া এর মধ্যে রাজনীতির উপাদানও রয়েছে যথেষ্টই। হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরিই বলেছিলেন, ওটা বিজেপির বিচারালয়। সেই সঙ্গে এও প্রশ্ন তুলেছিলেন, হাইকোর্ট রায় ঘোষণার আগেই বিজেপি জেনে যাচ্ছে কী করে?
অর্থাৎ বাংলায় শাসক দল এই ধারণা তৈরিরই চেষ্টা করছিল যে এক ধাক্কায় প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিলের ঘটনা আসলে বিজেপির ষড়যন্ত্র। তা আরও স্পষ্ট করে বোঝাতে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নাম না করে চাকরিখেকো বলে মন্তব্য করতেও ছাড়েননি তিনি। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, উনি বিচারপতির আসনে বসে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
মঙ্গলবারের রায়কে তাই ইতিবাচক ভাবেই দেখছে তৃণমূল। সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বতী রায় ঘোষণার পরই তাই হই হই করে নেমে পড়েন তৃণমূল মুখপাত্ররা।
দলের এক রাজ্য নেতা তথা মুখপাত্র বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন কারও চাকরি যাওয়া উচিত নয়। কারণ, এতে তাঁর পরিবারের উপর অভিশাপ নেমে আসে। বাঙালি মননেও বিষয়টা ভালভাবে নেওয়া হয় না। গোটা দেশে সরকারি চাকরির সুযোগ কমছে। তার পর যদি যোগ্য -অযোগ্য বিচার না করে এক ধাক্কায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয় তা হলে তা সুবিচার নয়।
নেত্রীর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন অভিষেক ব্যানার্জিও। তাঁর এক্স হ্যান্ডেল-এ তিনি জানিয়েছেন, বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে এবং রাজ্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গত সপ্তাহে বিজেপি যে বোমা নিক্ষেপ করেছিল তা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত যোগ্য অযোগ্য সবার চাকরি বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। ওইদিন এই মামলার ফের শুনানি হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি প্রাপকদের টাকা ফেরতের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া ছাড়াও আদালত নির্দেশ দিয়েছে অতিরিক্ত শূন্যপদ সৃষ্টিকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তা বহাল থাকবে।