বিকাশ ভবনের কার্নিশ থেকে ঝাঁপ এক তরুণীর !
চাকরিহারাদের আন্দোলনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বিকাশ ভবনের দোতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন এক তরুণী। সূত্রের খবর, ওই তরুণী এদিন বিশেষ কাজে বিকাশ ভবনে এসেছিলেন। তারপরই চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের জেরে আরও অনেকের মতো তিনিও বিকাশ ভবনে আটকে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোনওভাবে বাইরে বেরোতে না পেরে এদিন সন্ধে ৬টা নাগাদ তিনি বিকাশ ভবনের দোতলা থেকে ঝাঁপ দেন। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বিকাশ ভবন চত্বরে। দোতলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ফলে ওই তরুণীর পায়ে ও হাতে আঘাত লেগেছে। তিনি জানান, বাড়িতে অসুস্থ মা।

আন্দোলনকারীদের বারংবার অনুরোধ করেও বাইরে বেরোতে পারেননি। এদিকে মাকে ওষুধ খাওয়াতে হবে। তাই বাধ্য হয়েই ওপর থেকে লাফ দেন তিনি।

তরুণীর কথায়, “বিশেষ একটি কাজ নিয়ে বিকাশ ভবনে এসেছিলাম। দুপুরে কাজ শেষের পর বেরোতে গিয়ে দেখি বাইরে থেকে গেটে তালা মেরে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ওদেরকে বলি যে আমি সরকারি কর্মচারী নই, এখানে বিশেষ কাজে এসেছিলাম। বাড়িতে অসুস্থ মা, তাঁকে ওষুধ খাওয়াতে হবে। কিন্তু ওরা কোনও কথা শোনেনি। বাধ্য হয়েই দোতলা থেকে ঝাঁপ দিই।”
হকের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। এই দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা থেকে বিকাশ ভবনে বড় ধরনের বিক্ষোভ জমায়েত করে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের অধিকার মঞ্চ। তাঁদের অভিযোগ, অযোগ্যদের বাঁচাতে চাইছে রাজ্য।
এরপরই যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে আন্দোলন তীব্রতর করার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। দেড় ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানান তাঁরা।

পরে বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক থেকে চাকরিহারারা স্পষ্ট করে দেন, তাঁরা দ্বিতীয়বার কোনও চাকরির পরীক্ষায় বসবেন না। তাঁদের কথায়, “নতুন করে আমরা কোনও পরীক্ষা দেব না, দিতে হলে আগে মুখ্যমন্ত্রী-সহ সব জন প্রতিনিধিকে নতুন করে ভোটে জিতে আসতে হবে। কারণ, আমাদের ভোটে জিতেই তো ওনারা জন প্রতিনিধি হয়েছেন। তাহলে আমাদের নতুন করে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে, তার আগে ওদেরও নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে।”
এর আগে এসএসসি ভবনে চেয়ারম্যানকে বেশ কয়েক দিন-রাত লাগাতার ঘেরাও করে রেখেছিলেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা। এবার বিকাশ ভবনে লাগাতার ঘেরাও অভিযানে নেমেছেন তাঁরা। দাবি দুটো, এক যোগ্যদের চাকরি ফেরানো এবং অযোগ্যদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।
