

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তালিকায় ফের নাম উঠল কুহেলি ঘোষের। তিনি সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার। সুপ্রিম কোর্টের চাপে শনিবার অযোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নাম, রোল নম্বর-সহ প্রকাশিত সেই তালিকায় ৪৭৪ নম্বরে দেখা গেল কুহেলি ঘোষের নাম। এর পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তৃণমূল কাউন্সিলার কুহেলি ঘোষ। আইনি পথে হাঁটার কথা ভাবছেন তিনি।

এসএসসি–র অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর নাম সামনে আসছে। তালিকার ১৮০৪ জনের মধ্যে রয়েছেন রাজপুর–সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষ । তালিকায় নাম প্রকাশের পরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।

কুহেলি জানিয়েছেন, আগামী সোমবার ফের কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করবেন। তাঁর কথায়, “আমি এর আগেও মামলা করেছিলাম। সিবিআই–কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলাম, যে কোনও তদন্তকারী সংস্থা আমাকে ডাকুক। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ ডাকেনি। গতকাল শুনলাম তালিকা প্রকাশ হবে। সেখানে আমার নামও রয়েছে। কিন্তু কেন আমার নাম এসেছে, সেটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়।”
দাগি তালিকার ৬৪৭ নম্বরে রয়েছে কুহেলির নাম। প্রথমে তিনি প্রাথমিক শিক্ষিকার পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন, পরে হাইস্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পান। তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগই এখনও প্রমাণিত হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পুরনো প্রাইমারির চাকরিতে ফেরার জন্য সমস্ত নথিপত্র জমা দিলেও সেই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি বলে জানান তিনি। কুহেলির বক্তব্য, পরীক্ষা দিয়ে এবং নিয়ম মেনেই তিনি চাকরি পেয়েছেন।

অযোগ্যদের তালিকায় শুধু কুহেলি নন, আরও কয়েকজন শাসকদলের পরিচিত মুখ রয়েছেন। হুগলির খানাকুলের দাপুটে তৃণমূল নেতা বিভাসের নাম রয়েছে তালিকার ৩১৬ নম্বরে। হুগলির প্রাক্তন জেলা পরিষদের সদস্য বিভাস কর্মরত ছিলেন তারকেশ্বরের একটি বিদ্যালয়ে। একই তালিকায় ১৩৩২ নম্বরে রয়েছেন বিভাসের স্ত্রী সন্তোষি মালিকের নামও। এমনকি হুগলির জেলা পরিষদের সদস্যা সাহিনা সুলতানার নামও উঠে এসেছে অযোগ্যদের তালিকায়।