দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃবিসিসিআই সভাপতি হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে প্রথম বার মুখ খুলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে ভারতীয় ক্রিকেটের চর্চায় ছিল তাঁকে বিসিসিআই সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবর। চর্চায় ছিল এও যে, বাঙালি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কি গুজরাতি আক্রোশের শিকার হলেন ক্রিকেট প্রশাসনে?
কথা, জল্পনা, তর্ক, রাজনৈতিক চাপানউত রয়েছে স্রোত বয়ে গিয়েছে। সেই সৌরভ বিসিসিআই সভাপতির পদ হারানোর পর প্রথম মুখ খুললেন নিজের শহর কলকাতায়।
বৃহস্পতিবার বন্ধন ব্যাঙ্কের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন তিনি। বাইপাসের ধারের একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে দাদাকে প্রশাসক পদ হারানো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি প্রশাসক হিসেবে থেমে থাকব না। আরও বড় ভাবনা আছে। এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলছি না। সময় এলে দেখতে পাবেন।”
ভবিষ্যতে যাই করুন না কেন, আবার শূন্য থেকে তাঁকে শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছেন সৌরভ। তিনি বলেছেন, “সবাই শেষটাই দেখে। কিন্তু বোঝার চেষ্টা করে না যে আমাদের সবাইকে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। প্রশাসক হিসাবে হয়তো আমার এখানেই ইতি। এখন হয়তো আমাকে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে। সেখানেও শূন্য থেকে শুরু করতে হবে।”
এখন প্রশ্ন হল, প্রশাসক হিসেবে আরও বড় কাজ বলতে সৌরভ কী বোঝাতে চাইলেন? তিনি কি আইসিসি-র দিকে ইঙ্গিত করলেন? এখন কি তাহলে বিশ্ব ক্রিকেটের মসনদে বসাই তাঁর পাখির চোখ?
অনেকের মতে, এ ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা যায় না। কারণ আইসিসি প্রেসিডেন্ট হতে গেলে অন্য দেশগুলোর সমর্থনের বিষয় রয়েছে। সেখানে আবার শুধু খেলাই প্রতিপাদ্য বিষয় নয়। যিনি প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি কোন দেশের মানুষ, সেই দেশটির সঙ্গে বাকি দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্ক কী এই বিষয়গুলিও জড়িয়ে থাকে।
জীবনের ক্ষেত্রেও সৌরভ একটি করে পদক্ষেপ করতে পছন্দ করেন বলে জানিয়েছেন। দীর্ঘ পথ এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই তাঁর লক্ষ্য থাকে বলে জানিয়েছেন ‘মহারাজ’। তিনি বলেছেন, “ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছিলাম। লম্বা যাত্রায় সফল হতে গেলে ছোট ছোট পদক্ষেপ করে এগিয়ে যেতে হয়। শুরুতেই এক লাফে সাফল্যে পৌঁছে যেতে চাইলে তা সম্ভব হয় না। সেটা হতে পারে না। এক দিনে কেউ সচিন তেন্ডুলকর হয় না। নরেন্দ্র মোদী হয় না।”