দেশের সময়: বঙ্গে থমকে গিয়েছে বিজেপি। ঊনিশের থেকেও অনেক আসন কমেছে তাদের। আটকে যেতে হয়েছে বারোর গেরোয়। বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে অনেক চেষ্টা করে ৫ হাজার ৫৬৭ ভোটে জিতেছেন বিজেপির সৌমিত্র খাঁ। এনিয়ে তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ হলেন তিনি।
এদিকে জিতেই দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সৌমিত্র। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপিতে রাজ্যে যাঁরা নেতৃত্বে রয়েছেন, তাঁরা পুরোপুরি অযোগ্য। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি সহযোগিতা না করত, তাহলে বাংলায় এই বারোটা আসনের একটিতেও বিজেপি জিততে পারত না। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, আরএসএস ছিল বলেই বিষ্ণুপুরে জিততে পেরেছেন তিনি। স্বীকার করে নিয়েছেন, সংখ্যালঘু ও মহিলা ভোট পুরোটাই তৃণমূল পেয়েছে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কাজ করেছে একশো শতাংশ। এমনকী বিজেপি কর্মীদের বাড়ির মহিলারাও এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য দলবেঁধে গিয়ে তৃণমূলে ভোট দিয়ে এসেছেন।
নিজের প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলের লড়াইকে স্যালুট জানিয়েছেন সৌমিত্র। বলেছেন, সুজাতা দারুণ ফাইট দিয়েছে। আমাকে অনেক কষ্ট করে জিততে হয়েছে।
তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দারুণ স্ট্রাটেজি সাজিয়েছিলেন। তাঁর সেই স্ট্রাটেজি বুঝতে পেরেছিলাম। তাই এখানে তৃণমূলের জয় রুখে দিতে পেরেছি শেষ পর্যন্ত। তবে আমি বলছি, এখানে যদি আমি তৃণমূলের প্রার্থী থাকতাম, তাহলে দেড় থেকে দুই লক্ষ ভোটে জিততাম। অভিষেক ভালো কাজ করেছে। তাই জিতেছে।
সৌমিত্রর তোপ, অনভিজ্ঞ লোকদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বে। ওঁদের দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ঠিক কাকে নিশানা করছেন সৌমিত্র। শুভেন্দু? সৌমিত্রর অবশ্য জবাব, শুভেন্দুদা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি। তিনি যে টিম নিয়ে কাজ করেছেন, সেই টিম কাজ করেনি। আসলে টিমটাই বানাতে পারেননি তিনি। তাহলে কি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সৌমিত্রর নিশানায়?
বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলছেন, সুকান্ত সভাপতি হয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু তিনি ছাড়াও দলের রাজ্য নেতৃত্বে অনেকে রয়েছেন, যাঁরা অযোগ্য, অনভিজ্ঞ। এঁদের না সরালে দলের হাল ভালো হতে পারে না। এস এস আলুওয়ালিয়া কিংবা দিলীপ ঘোষের আসন পরিবর্তন করা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন সৌমিত্র।
বলেন, এই আসনগুলো না বদলানো হলে তাঁরা জিততেন। কোচবিহারে অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিক কিংবা বাঁকুড়া আসনে ডাঃ সুভাষ সরকারের হারের কারণ কী? সৌমিত্রর সোজাসাপ্টা জবাব, অহংকার হয়ে গেলে তাঁর পতন হবেই।