দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ চোরাচালানের বড়সড় ছক বানচাল করল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। সীমান্ত দিয়ে ইছামতি নদীর ধার দিয়ে পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল সোনার বিস্কুট। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কাছে এই নিয়ে আগে থেকেই খবর ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন জওয়ানরা।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে ২১ জুলাই দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার গুনারমাঠ গ্রামের কাছে ইছামতি নদীর ধারে আন্তর্জাতিক সীমান্তের সন্দেহজনক এলাকায় অ্যামবুশ করে বিএসএফ-এর ১৫৮ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গুনার মাঠ সীমান্ত চৌকিতে। দক্ষিণবঙ্গের ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অবস্থিত ইছামতি নদীর পাড় দিয়ে বিশাল অঙ্কের ওই সোনা চোরাচালানের চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই সময়েই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা পাচারকারীদের ধরে ফেলেন।
চোরাচালানকারীদের থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩২১ টি সোনার বিস্কুট। সেই সঙ্গে চারটি সোনার বার এবং একটি সোনার কয়েনও উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার মোট ওজন প্রায় সাড়ে ৪১ কেজি, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২১ কোটি ২২ লাখ টাকা।
बीएसएफ की बड़ी कामयाबी, 321 गोल्ड बिस्कुट ज़ब्त
— BSF_SOUTH BENGAL: KOLKATA (@BSF_SOUTHBENGAL) July 22, 2022
सीमा चौकी-गूनारमठ, दक्षिण बंगाल सीमांत के प्रहरियों ने भारत-बांग्लादेश सीमा पर स्थित इच्छामती नदी के रास्ते तस्करी की जा रही लगभग 21.22 करोड़ मूल्य के 41.491 किलो के 321 सोने के बिस्कुट, 04गोल्ड बार व एक सोने के सिक्के को जब्त किए। pic.twitter.com/NrzkvxLoyp
সন্ধে সাড়ে ৬টার দিকে প্রায় ৭-৮ জন সন্দেহভাজন চোরাকারবারীকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ইছামতি নদীতে একটি কাঠের নৌকায় ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেখেন জওয়ানরা। তাঁরা এগিয়ে যেতেই মালপত্র ফেলে নদীতে ঝাঁপ দেয় চোরাকারবারীরা, তারপর সাঁতরে বাংলাদেশের দিকে ফিরে যায়।
তল্লাশি চালিয়ে ৫টি ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করে বিএসএফ। তার মধ্যে ছিল ৩২১টি স্বর্ণের বিস্কুট, ৪টি সোনার বার, ১টি সোনার কয়েন এবং ১টি কাঠের দেশি নৌকা ছাড়াও ৪টি মোবাইল ফোন, প্যাকিং সামগ্রী এবং বাংলাদেশি সংবাদপত্র উদ্ধার করা হয়।
বাজেয়াপ্ত সোনা ২৪ ক্যারেটের এবং এর ওজন ৪১.৪৯ কেজি, যার বাজারমূল্য প্রায় ২১.২২ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-এর দ্বারা এটিই সবচেয়ে বড় একক সোনা আটক বলে জানা গেছে।