Smart Meter স্মার্ট মিটার নিয়ে বিভ্রান্তি!  বাড়তি বিল আসার অভিযোগ! বনগাঁতেও বিক্ষোভ- প্রতিবাদ, আপাতত বন্ধ হলো স্মার্ট মিটার বসানো : দেখুন ভিডিও

0
10
রাহুল দেবনাথ, দেশের সময়

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই একাধিক জেলায় স্মার্ট মিটার নিয়ে দফায় দফায় ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছে। পথ অবরোধ থেকে বিরোধীদের ডেপুটেশনও বাদ যায়নি। এই অবস্থায় আপাতত স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ করতে চলেছে রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তর। দেখুন ভিডিও

একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস এবং টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ারে সফলভাবে স্মার্ট মিটার বসানোর পরেও গৃহস্থ বাড়িতে এই মিটার নিয়ে ‘কিছু অভিযোগ আসায়’ আপাতত মিটার লাগানো বন্ধ রাখা হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, এই মিটার লাগানোর পরে থেকেই অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। সেই কারণেই স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ করা হলো বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

স্মার্ট মিটার নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চলছে বিভিন্ন জেলায়। সোমবারও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে বনগাঁয়। অবরোধ হয় বারাসতেও। অবিলম্বে স্মার্ট মিটার বাতিল করে পুরোনো মিটার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলে বারাসাত সাব ডিভিশনাল বিদ্যুৎ দপ্তরের সামনে এ দিন  বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ মানুষ-সহ অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

স্মার্ট মিটার হলো একটি আধুনিক বৈদ্যুতিন ডিভাইস। এই মিটারে একটি সিম থাকে। এটি বিদ্যুৎ খরচ, ভোল্টেজ লেভেল রেকর্ড করে। ওই তথ্য রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কন্ট্রোল রুমে যায়। কন্ট্রোল রুম থেকে মিটার চালু বা বন্ধ করা যায়। স্মার্ট মিটারে আগে টাকা দেওয়ার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা মেলে। রিচার্জ না করালে বিদ্যুৎ বন্ধ করতে পারে। তবে গ্রাহকরা স্মার্ট মিটারে অতিরিক্ত বিল আসার অভিযোগ। আগের মিটারের চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে বলে দাবি গ্রাহকদের।

তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্মার্ট মিটার নিয়ে বিভ্রান্তির অন্ত নেই। বিদ্যুৎ দপ্তরের বক্তব্য, স্মার্ট মিটার লাগালে লাভবান হবেন গ্রাহকরা। দৈনন্দিন বিদ্যুৎ খরচের হিসাব পাবেন তাঁরা। নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন।

অন্যদিকে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি, স্মার্ট মিটার বসানো হলে ক্ষতিই বেশি। অনেক বেশি টাকার বিল আসবে। সঙ্গে টাকা শেষ হয়ে গেলে যে কোনও সময়ে বিদ্যুৎ চলে যাবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই রাজ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বা ডব্লুবিএসইডিসিএল এই স্মার্ট মিটার বসাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী, এই রিভ্যাম্পড ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টর স্কিম বা আরডিএসএস-এর মাধ্যমে প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার বসানো বর্তমান গ্রাহকদের বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও এই স্মার্ট মিটার বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ডব্লুবিএসইডিসিএল-এর বর্ধমানের রিজিয়োনাল ম্যানেজার গৌতম দত্তের বক্তব্য, ‘কেন্দ্রের নির্দেশিকায় আরডিএসএস-এর মাধ্যমে প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার বসানো বর্তমান গ্রাহকদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এতে তাঁরা বিদ্যুতের বিলের ৩ শতাংশ ছাড় পাবেন। পাশাপাশি স্মার্ট মিটার বসানোর জন্য এক টাকাও খরচ করতে হবে না। এই মিটারে বিদ্যুতের বিলের ঠিক হিসাব পাওয়ার সঙ্গে কত বিদ্যুৎ এক দিনে ব্যবহার করা হয়েছে, তা গ্রাহক জানতে পারবেন নিজের মোবাইল থেকে। মিটার রিডিং নেওয়ার ক্ষেত্রেও ত্রুটি থাকবে না।’

কিন্তু রাতে বা ছুটির দিনে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তার সমাধান কী? গৌতম বাবুর কথায়, ‘রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে বলে যে প্রচার চলছে, তা মেটোও ঠিক নয়। রিচার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ৩০০ টাকা পর্যন্ত বকেয়া বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক। তার পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে।

বকেয়া ৩০০ টাকা পার হয়ে গেলেও শনিবার, রবিবার বা কোনও ছুটির দিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না। বিকেল ৫টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনও লাইন কাটা হবে না। শুধুমাত্র অফিস টাইমে লাইন কাটা হবে।’
তিনি আরও জানাচ্ছেন, যে মুহূর্তে গ্রাহক বুঝতে পারবেন যে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে, তখনই বকেয়া মিটিয়ে দিলে বিদ্যুৎ ফিরে আসবে।’

Previous articleNagerbazar Jewellery Shop অন্তর্বাসে সোনার গহনা লুকিয়ে পালানোর চেষ্টা, দোকানেই ধরা পড়লেন দুই তরুণী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here