দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য বিজেপি-র সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর৷ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার কথা নিজেই স্বীকার করে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যও করেছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী৷ শান্তনুর দাবি, রাজ্য বিজেপি-তে তাঁর প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি৷ বিজেপি নেতৃত্বের চিন্তা বাড়িয়ে শান্তনু আরও বলেন, সময় মতো সংবাদমাধ্যমকে ডেকে যা বলার বলবেন তিনি৷
দলের রাজ্য কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব না রাখার প্রতিবাদে কয়েকদিন আগেই বিজেপি-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বিধায়ক ৷ বিষয়টি নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গেও কথা বলেছিলেন শান্তনু ঠাকুর৷ তার পরেও সাংসদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় শান্তনুর ক্ষোভ প্রশমন হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে৷
এ দিন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শান্তনু বলেন, ‘আমি পশ্চিমবঙ্গে দলের সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল৷ কারণ আমার মনে হয়েছে রাজ্যে আমাকে দলের প্রয়োজন নেই৷ সেক্ষেত্রে আমারও তাদেরকে নিষ্প্রয়োজন৷ সময় মতো আমার সব পরিকল্পনা, উদ্দেশ্য সবাইকে ডেকে জানিয়ে দেবো৷’ শান্তনু ঠাকুরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দলের অন্য নেতারা৷
পুরভোটের আগে শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে দলের দূরত্ব যে বাড়ছে তা এ দিনের আরও একটি ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ যা মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি নেতৃত্বের চিন্তা বাড়াতে বাধ্য৷ এ দিনই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল বিজেপি৷
বনগাঁ, গোবরডাঙ্গা, হরিণঘাটা, কল্যাণী এবং গয়েশপুর পুরসভার বিজেপি কর্মীদের নিয়ে সোমবার বিকেলে গোপালনগরের পাল্লা বাজারের একটি লজে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অর্জুন।
যদিও এই প্রশিক্ষণ শিবিরে দেখা যায়নি বনগাঁ উত্তর, গাইঘাটা, হরিণঘাটা এবং কল্যাণীর বিজেপি বিধায়কদের। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই অনুপস্থিত ছিলেন বিধায়কেরা? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘‘সকলের আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে। সে জন্যই আসতে পারেননি। বিজেপি-র মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দলের কোনো বিষয় নেই।’’
বৈঠকে গরহাজির ছিলেন কল্যাণাীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর৷
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে চার মতুয়া বিধায়ক। গাইঘাটায় বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, এবং রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। এই বিধায়করাই বিজেপি-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন৷ একমাত্র বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার এ দিন দলের বৈঠকে হাজির ছিলেন৷