দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলা জুড়ে তুঙ্গে স্কুল খোলার ‘প্রস্তুতি’! পরিদর্শকদের বিশেষ নির্দেশ রাজ্য শিক্ষা দফতরের৷ দু’সেট নতুন ইউনিফর্ম, বেশি করে মাস্ক-স্যানিটাইজার! প্রস্তুতি তুঙ্গে অভিভাবকদের৷
আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ তারিখ থেকে আবার শুরু হতে চলেছে স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করার অধ্যায় । এই দেড় বছরে অনলাইনে পড়াশুনা করার অভ্যাস কাটিয়ে আবার ফিরতে হবে সেই আগের ব্যস্ত জীবন যাত্রায়। বদলাতে হচ্ছে পড়াশোনার পদ্ধতিও। পাশাপাশি অভ্যাসও পাল্টে যাবে।
নবম শ্রেণির ছাত্রী সহেলী বিশ্বাসের কথায় করোনার জন্য তো সব বিধি মানতে হবে। শুনছি সেটাই। সেই মতো ব্যবস্থা নিচ্ছি। বাবা মাস্ক কিনে এনেছে এক বাক্স। মা বলেছে, দুটো করে মাস্ক ব্যাগে দিয়ে দেবে। স্যানিটাইজারের একটা বোতলও কিনে এনেছি আমি নিজেই। পকেটে করে নিয়ে যাব সেটা। তবে আগে স্কুলে গিয়ে একটু হলেও বাইরের খাবার খেতাম। কিন্তু সেটাতেও ফুলস্টপ। কোনও রকম বাইরের খাবার খাওয়া যাবে না, বলে দিয়েছে মা। এমনকি আগে নিজেদের মধ্যে টিফিন ভাগ করে খেতাম সেটাও বন্ধ।
পাশাপাশি, পড়াশুনাতেও প্ৰথমে একটু অসুবিধা হবেই। মোবাইলে পড়াশুনা করতে করতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তবে সবসময়ই স্কুলে যাওয়াটা মিস করেছি। ছোট থেকেই স্কুল মানেই একটা মজা একটা আনন্দ। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে, মজা হবে। অনলাইন ক্লাসের মধ্যেও সেই মজাটা মিস করতাম। যখন জানতে পারলাম যে আবার স্কুলে যেতে পারব, আবার স্বাভাবিক জীবনে কিছুটা হলেও ফিরে পারব তখন একটা আলাদা অনুভূতি কাজ করতে শুরু করেছে মনের মধ্যে।
আনন্দের মধ্যেও একটু একটু ভয় যে করছে না তা নয়। মোবাইলে পড়াশুনার একটা যে অভ্যাস হয়েছিল সেটা থেকে বেরিয়ে স্কুলে পড়াশুনা শুরু হবে। প্রথম প্রথম স্কুল যেতে জানি না কেন একটু আড়ষ্ট লাগছেই। তবে সেটা তাড়াতাড়ি কেটে যাবে বলেও মনে হচ্ছে। এছাড়াও করোনা তো এখনও পুরোপুরি যায়নি। যদি করোনা আবার বেড়ে যায়, আবার স্কুল বন্ধ হয়ে যায়, সেই ভয়ও লাগছে। আবার সেই বন্দি জীবন শুরু হবে, সেটা চাই না। তাই মা-বাবা যেটা বলেছে সেই মেনেই চলব। বন্ধুদেরও বলেছি সেটাই। স্কুলে যাব ঠিকই, কিন্তু সেই একসঙ্গে হুল্লোড় করাটা হবে না মনে হয়। কাছে গিয়ে কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।
এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায়, প্রাইভেট টিচারের কাছে পড়তে যাওয়ারও বিভিন্ন সময় ছিল। যখন সময় হত তখনই পড়তে যাওয়ার ডাক পড়ত। কিন্তু স্কুল শুরু হলে সেটা হবে না। আবার একটা বাধা ছকে আসবে পড়াশুনা। এটা একদিকে ভাল, তবে প্রথম প্রথম সব টিউশনের সময়ও বদলে যাবে, সেটা একটু অসুবিধা হবে। তবে মানিয়ে নিতে হবে।
এতদিন বাড়িতেই অনলাইনে স্কুলের টিচারদের কথা শুনেছি, এবার আবার হাতে কলমে স্কুলে গিয়ে ক্লাস শুরু হবে। কিন্তু স্কুলের ক্লাসে বসে পড়াশুনা করার মজাই আলাদা। সব মিলিয়ে নতুন নিয়ম শৃঙ্খলার দ্বারা আবার সব কিছু শুরু করব, সব মিলিয়ে একটা মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে মনের মধ্যে।
এই করোনা আসার ফলে আমাদের অনেকটা ক্ষতি হয়ে গেছে। পরীক্ষাও দিয়েছি অনলাইনে। কিন্তু স্কুলে বসে পরীক্ষার সঙ্গে তার অনেক পার্থক্য। সময় এসেছে সেই ক্ষতির কিছুটা অংশ আবার ভালো করার।
স্কুল ছাত্র অনিকেতের অভিভাবক সুপর্ণা কর্মকার বলেন, স্কুল খোলার কথা জানার পর থেকেই ভয় করছে একটু । স্কুল খুলবে যখন তখন তো পাঠাতেই হবে সন্তানকে। কিন্তু বাচ্চাদের তো এখনও ভ্যাকসিন হয়নি। সেটাই ভয়।
আমার ছেলে ইলেভেনে পড়ে। করোনার বিপদটা ওরা বুঝেছে এত দিনে। সেটা একটা সুবিধা। তবে স্কুলে গিয়ে কেমনভাবে নিজেকে করোনা মুক্ত রাখতে হবে সেটা বোঝাচ্ছি। ঠিক করেছি, স্কুলে যদিও দেবে তবু মাস্ক ও স্যানিটাইজার বেশি করে ব্যাগে দিয়ে দেব। রোজ স্কুল থেকে এলে জামা কাপড় ধুতে হবে। তাই দু’সেট নতুন জামাও কেনা হয়েছে।
আরও এক স্কুল ছাত্রী ঐশ্বরীয়া ঘোষের অভিভাবক মুকুন্দ ঘোষ নতুন স্কুল পোশাক কিনতে এসে দেশের সময়কে জানান, এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায়, বেশ অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ছেলে-মেয়েরা। সেটা বেশ বুঝতে পারছি। কমে গেছে হাতের স্পিডও। লেখার ইচ্ছাও চলে গেছে। অনলাইনে পড়াশুনার সময় টিচাররা কিছু পাঠালে সেটা তো স্ক্রিনশট তুলেই রেখে দিত পরে লিখবে বলে। কিন্তু স্কুলে পড়াশুনা শুরু হলে ডিক্টেশন নিয়ে লেখা শুরু হবে। সেই পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্ৰথমে অসুবিধাই হবে। বনগাঁর এক স্কুল পোশাক বিক্রেতা তপন চক্রবর্তী বলেন প্রায় দু’বছর ধরে তৈরী করা বহু স্কুল পোশাক জমেছিল যা এখন রাজ্য সরকারের স্কুল খোলার দিন ঘোষণা হতেই সেই সমস্ত পোশাক নিতে ভিড় করছেন অভিভাবকেরা এর ফলে পোশাক তৈরীর কারখানার শ্রমিকরারাও তাঁদের কাজ ফিরে পাওয়ার আশা দেখছেন ৷
তবে ওরা এখনও যেহেতু বাচ্চা তাই কিছুদিনের মধ্যেই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে বলেও আমার দৃঢ় বিশ্বাস। স্কুলে পাঠানোর আগে অবশ্যই কিছু বিষয়ের ওপর নজর রাখতে হচ্ছে। জলের বোতলে পর্যাপ্ত জল দিয়ে দেওয়া, প্রয়োজনে দুটি বোতল দিয়ে দেব। কারণ যাতে অন্য কারোর থেকে জল না খায়। পাশাপাশি টিফিন দিয়ে দেওয়া ও মাস্ক, স্যানিটাইজারও বেশি করে দিয়ে দেব ঠিক করেছি।
বনগাঁ হাই স্কুলের ক্যান্টিনের দ্বায়িত্বে থাকা বেক্তি সুশান্ত নাথ বলেন দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর স্কুলের ক্যান্টিনও খুলবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ কিন্তু মানতে হবে অনেক নিয়ম , সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। আপাতত গরম চা সঙ্গে প্যাকিং করা কিছু বিস্কুট থাকছে এভাবেই শুরু হোক, পরে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেব। স্কুলও বিশেষ করে নজর রাখবে বলেছে। এখন দেখার বিষয় কতটা কী মানা সম্ভব হচ্ছে বাচ্চাদের পক্ষে।
মঙ্গলবার স্কুলে ঢোকার সময় পড়ুয়াদের হাতে সরকারের তরফে পেন অথবা ফুল
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে আগামী মঙ্গলবার । রাজ্য সরকারের নির্দেশে ওইদিন খুলতে চলেছে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ওইদিন স্কুলের গেটে প্রত্যেক পড়ুয়ার হাতে একটি কলম অথবা ফুল তুলে দিয়ে সরকারের তরফে স্বাগত জানানো হবে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, যেহেতু দীর্ঘদিন পর পড়ুয়ারা শিক্ষাঙ্গনে ফিরছে তাই এই সিদ্ধান্ত।
করোনার কারণে রাজ্যে লকডাউন জারি হয়েছিল গত বছর ২১ মার্চ। সেই থেকে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন বন্ধ। মাঝে পরীক্ষা এবং অন্যান্য কাজে কিছুদিনের জন্য কিছু ক্লাসের পড়ুয়াদের স্কুলে যেতে হয়েছিল। কিন্তু মোটের উপর শিক্ষাঙ্গন খুলতে চলেছে গত বছরের ২১ মার্চের পর। সব মিলিয়ে প্রায় আঠারো মাস পর।
শুক্রবার সরকারের তরফে নির্দেশ আসতেই কলম অথবা ফুল কেনার তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে স্কুলে স্কুলে। এই বাবদ খরচ স্কুলগুলিকে রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা মিশন মিটিয়ে দেবে। স্কুল খোলার আগে রবিবার রাজ্যের বহু স্কুলেই নতুন করে সাফাই অভিযান হয়েছে। সোমবারও এই কাজ চলবে। এই দুদিন বিশেষভাবে স্কুল স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
প্রায় দু-বছর বন্ধ থাকার পর আগামিকাল খুলতে চলেছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ৷ কী ভাবে নিচ্ছে স্কুলগুলো প্রস্তুতি, ছাত্র-ছাত্রীরা কী ভাবে স্কুলে বসবে, স্কুলে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি পরিদর্শনের নির্দেশ দিল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। প্রত্যেকটি জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের নির্দেশ স্কুল শিক্ষা সচিবের। সমান্তরালভাবে জেলা শাসকদেরও পরিদর্শন করার কথা বলা হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে। আজই এই পরিদর্শন সেরে ফেলতে হবে। ডিআইদের এমনটাই নির্দেশ স্কুল শিক্ষা দফতরের। প্রস্তুতিতে কোনও খামতি দেখলে স্কুলগুলিকে সতর্ক করতে হবে।
উল্লেখ্য, আইনি জটিলতা কাটিয়ে মঙ্গলবার থেকে ফের খুলছে রাজ্যের স্কুলগুলি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা স্কুলের পরিকাঠামো কতটা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সুবিধেজনক রয়েছে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। তার ওপর ক্লাসের নয়া সময়। কাল ক্লাসের ঘণ্টায় পদে পদে নতুন রুটিনে তাল কাটতে পারে পুরোনো ছন্দের। দেড় বছর পর খুলছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি। অফলাইন ক্লাসে থাকবে কোভিড গাইডলাইনের কড়াকড়ি। জেলায় জেলায় এখনও কাটেনি শিক্ষামহলের দুশ্চিন্তা। শেষমূহুর্তে সংস্কার সাফাইয়ের হুড়োহুড়ি চলছে। পরিবহণ নিয়েও উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।
গত সপ্তাহেই স্কুল-মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। স্কুল খোলার বিষয়ে আপাতত হস্তক্ষেপ করতে নারাজ হাইকোর্ট। জনস্বার্থ মামলাটির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আদালত জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারি নির্দেশ মেনে ১৬ নভেম্বর থেকে খুলবে স্কুলের দরজা। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে যাবে। এরপর ধাপে ধাপে বাকিদেরও ক্লাস চালু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই রাজ্যের শিক্ষা দফতর জেলাগুলিতে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কী ভাবে স্কুল খুলতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ কতটা মণ হয়েছে তা দেখতেই আজ পরিদর্শকদের নির্দেশ স্কুল শিক্ষা সচিবের।
মাঝে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই সময় রাজ্যের তরফে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়। এবারও একই গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে মাস্ক পরে স্কুলে আসতে হবে। সেই মর্মে বিদ্যালয়গুলিকে নোটিস জারি করতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে একটি শয্যাযুক্ত আইসোলেশন রুম রাখতে হবে। আচমকা যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে যেন সেখানে স্থানান্তরিত করা যায়।
মঙ্গলবার থেকে খুলতে চলেছে স্কুল। ফের দুয়ারে আসবে পুলকার। হবে টিফিনের পালা। অপেক্ষায় পড়ুয়ারা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। তবে মারণ ভাইরাসের কোপ থেকে কী ভাবে পড়ুয়াদের দূরে রাখা যাবে সে বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক রাজ্য শিক্ষা দফতর। স্কুল খোলার জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি কতটা কার্যকর হয়েছে, তা বুঝে নিতেই আজ স্কুলে স্কুলে পা দিতে চলেছেন পরিদর্শকদের দল।
আগামিকাল থেকে স্কুলে অবশ্যই মানতে হবে ‘এই’ নিয়মগুলি! একনজরে দেখে নিন পর্ষদের গাইডলাইন:
ক্লাস শুরুর আধঘণ্টা আগে আসতে হবে পড়ুয়াদের।
নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে সকাল ১০ থেকে দুপুর ৩.৩০।
দশম ও দ্বাদশের ক্লাস সকাল ১১ থেকে বিকেল ৪.৩০ পর্যন্ত
প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসও শুরু হবে ১৬ নভেম্বর থেকেই।
স্কুলের করিডর, গেটে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে গোল দাগ কেটে দিতে হবে!
স্কুলে আপাতত অভিভাবকরা প্রবেশ করতে পারবেন না!
স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়াই আংটি, বালা, হার-সহ
কোনও গয়না পরতে পারবেন না।
স্কুলে বসার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট বিধি মানতে হবে। বেঞ্চে দু’জনের বেশি পড়ুয়া বসতে পারবে না।
একটি বেঞ্চে দু’জন পড়ুয়া বসলে, তার পরের বেঞ্চে একজন পড়ুয়া বসতে পারবে।
স্কুলে,দেওয়া হবে না রান্না করা মিড ডে মিল।সেক্ষেত্রে, আগের মতোই বাড়িতে মিড ডে মিলের সরঞ্জাম দিয়ে দেওয়া হবে।
আপাতত স্কুলে কোনও খেলাধুলো বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
সব সময় ক্লাসে উপস্থিত থাকবেন একজন শিক্ষক।
স্কুলে জাঙ্কফুড খাওয়া যাবে না।
দেওয়া-নেওয়া করা যাবে না, পানীয় জল বা বই।
৩১ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত স্কুল পরিষ্কারের কাজ শুরু করে দিতে হবে।
পয়লা নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের।
প্রয়োজনে পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের পাস দেওয়া হবে। তা ইস্যু করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান।
হস্টেল খোলা যেতে পারে। তবে, কঠোর ভাবে মানতে হবে কোভিড বিধি।
স্কুলের হস্টেলে আইসোলেশন রুম রাখতে হবে।
ক্লাসরুমে শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রার্থনা হবে!
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও আলাদা করে নিয়ম বেঁধে দেয় শিক্ষা দফতর। তাতে বলা হয়েছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সাফাই ও স্যানিটাইজেশনের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে।