দেশের সময়: তরুণ প্রজন্মের কাছে সরস্বতী পুজো মানেই প্রেমের দিন। স্কুলে একেবারে ঢুঁ মেরেই প্রেমিকার হাত ধরে শহরের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ানো। অনেকেই আবার এই দিনটার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন। যাঁকে বেশ কিছু দিন ধরে মনে ধরেছে, তাঁকে প্রেমপ্রস্তাবটা কাল না দিলেই নয়।
এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পড়েছে সরস্বতী পুজো। ছুটির দিন পুজো পড়েছে বলে ইতিমধ্যেই প্রেমিক-প্রেমিকারা বেশ কিছু পরিকল্পনা বানিয়ে ফেলেছেন মনেমনে ৷
স্কুল-কলেজগুলিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ৷ বাড়ির পুজোর জন্যও বাজারহাট শেষের পথে।
রাত পোহালেই বসন্ত পঞ্চমী। বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠবে গোটা দেশ। হাতেখড়ি থেকে কুলের প্রসাদ, শাড়ি-পাঞ্জাবি থেকে খিচুড়ি ভোগ- সবটা মিলিয়েই যেন সরস্বতী পুজো। স্বভাবতই এই দিনটায় সাজো সাজো রব পড়ে যায় স্কুল-কলেজে। এ পুজোর দায়দায়িত্ব অনেকটাই কাঁধে তুলে নেয় ছোটরা। কাকভোরে উঠে স্নান সেরে শাড়ি পরে অঞ্জলি দেওয়ার আমেজই যেন আলাদা। আলপনা দেওয়া থেকে নৈবেদ্য সাজানো, প্রসাদ বিতরণ থেকে দুপুরে কব্জি ডুবিয়ে খিচুড়ি-ভোগ, সবটা মিলিয়ে এই দিনটা ছোটদের জন্য এক্কেবারে তাদের দিন। আর বড়দের জন্য এই দিনটা যেন নস্টালজিয়ায় ডুব।
পুজোর আয়োজন, পুরোহিত ডেকে আনা কিংবা অঞ্জলির ফাঁকে প্রিয় বন্ধুকে সরস্বতীপুজোর শুভেচ্ছাবার্তাটুকু পৌঁছে না দিলে চলে নাকি। কিন্তু একে প্রজাতন্ত্র দিবস, তার উপর সরস্বতী পুজো তাই সব সামলে বন্ধুদের WhatsApp-এ পাঠাবেন সরস্বতী পুজোর শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাবেন কী ভাবে, ভাবছেন তো?
আপনার জন্য রইল সরস্বতী পুজোর শুভেচ্ছার ডালি।
“জয় জয় দেবী চরাচর সারে
কুচযুগ শোভিত মুক্তাহারে
বীণা রঞ্জিত পুস্তক হস্তে
ভগবতী ভারতী দেবী নমঃস্তুতে।
সকলকে সরস্বতী পুজোর জানাই শুভকামনা।”
“বসন্তের ডালি নিয়ে হাজির ঋতু, মা এসেছেন বিদ্যার আলো নিয়ে।
সকলের জীবন ভরে উঠুক বিদ্যা, বুদ্ধি ও জ্ঞানে।
বসন্ত পঞ্চমীর শুভ লগ্নে সকলকে জানাই সরস্বতী পুজোর শুভেচ্ছা ৷”
“নিভৃতবাসিনী বীণাপাণি
অমৃতমুরতিমতী বাণী
হিরণকিরণ ছবিখানি- পরানের কোথা সে বিরাজে।
রইল সরস্বতী পুজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা।”
“বাগদেবীর আগমনে জ্ঞানের বিকাশ হোক,
পৃথিবী থেকে কাটুক অজ্ঞানতার তিমির!
ভালো কাটুক সরস্বতী পুজো।”
সরস্বতী পুজোর সঙ্গেই এসে যায় বসন্তকাল। এ বছর শীত বিদায় নিয়েছে আগেই। তবে আমাদের মনে তো সবসময়েই বসন্ত। আর সরস্বতীর আরাধনায় মেতে ওঠার আগে সেই রেশ পৌঁছে দিন বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-পরিজনদের কাছেও। তার সঙ্গে বাগদেবীর কাছে চেয়ে নিন জ্ঞানের আলো। কুসংস্কার আর অজ্ঞানতার অন্ধকারের সঙ্গে লড়ার সমস্ত শক্তি দিন তিনি। এই প্রার্থনা সারতে ভুলবেন না যেন মা সরস্বতীর কাছ থেকে ৷