দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বুধবার একটি মামলায় জামিন পেলেন সারদা গ্রুপের সিএম ডি সুদীপ্ত সেন এবং রোজভ্যালি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম কুণ্ডু। এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেটের আনা অভিযোগ অনুযায়ী তাঁদের যতদিন জেল হতে পারত, ইতিমধ্যেই সেই সময় তাঁরা কারাগারে কাটিয়েছেন। তাই বিশেষ প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) আদালতের বিচারক মাসুক হোসেন খান তাঁদের ব্যক্তিগত জামিন দেন। সেজন্য তাঁদের এক লক্ষ টাকা জামানত দিতে হবে। তবে এখনই তাঁরা ছাড়া পাচ্ছেন না। অন্যান্য কয়েকটি মামলায় তাঁদের জেলে থাকতে হবে।
বুধবার তাঁদের আইনজীবী বিশেষ আদালতে বলেন, দু’জনের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ বিরোধী আইনের কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছে। সেই সব ধারা অনুযায়ী সর্বাধিক যত বছর জেল হতে পারে, ইতিমধ্যে তাঁরা ততদিন জেল খেটেছেন।
আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামীর কথায়, “যদি তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হতেন, তাহলে তাঁদের পাঁচ বছর জেল হতে পারত। ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেফতার করা হয়। ৩১ মার্চ অবধি তিনি ছিলেন ইডি-র হেপাজতে। তারপর থেকে তিনি জেলে আছেন। গত মাসে আমরা আদালতে আবেদন করে বলেছি, ধরে নেওয়া হোক, ওই মামলায় সর্বোচ্চ যে শাস্তি হতে পারে, তা গৌতম কুণ্ডু পেয়েছেন।”
ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, দুই অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন বটে কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে সুদীপ্ত সেনকে গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাঁর সঙ্গী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে। পরের বছর জুন মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে সিবিআই। অভিযুক্ত সুদীপ্ত, দেবযানী-সহ ছ’জনকে তাদের হেফাজতে নেয়। আদালতের নির্দেশে সিবিআই অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করে। সে বছরই অক্টোবর মাসে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নামার ৮৪ দিন পর প্রথম চার্জশিট পেশ করে সিবিআই।
সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর মামলায় প্রথম চার্জশিট পেশ করা হয়। তাতে অভিযুক্ত হিসেবে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং সারদার গ্রুপ মিডিয়া সিইও কুণাল ঘোষের নাম ছিল। এরপর জল বহু দূর গড়িয়েছে। এই ঘটনায় সমান্তরালভাবে তদন্ত করছে ইডিও। অন্যদিকে ২০১৫ সালে রোজভ্যালিকাণ্ডে গ্রেফতার হন গৌতম কুণ্ডু। ২৫ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সে বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির হেফাজতে ছিলেন তিনি। এরপর জেল হেফাজত হয় তাঁর।