দেশের সময়: আরজিকর কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই ঠিক পথেই এগোচ্ছে। ১৫ দিন কেন, এক মাসও সময় লাগতে পারে। তদন্তের দায়িত্ব দিয়েই তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। সিবিআই তদন্তে দেরি করছে বলে প্রচার করে রাজ্য সরকার ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রশাসনের অন্দরে সরকারি হাসপাতালে। ফলে ওই ঘটনার দায় পুরোপুরি রাজ্য সরকারের। আমার তো মনে হয় আরজিকর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে সামনাসামনি বসিয়ে জেরা করা উচিত।
রবিবার জলপাইগুড়িতে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় বন্দর ও জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন মতুয়ারা জলপাইগুড়ির রাস্তায় নেমে মিছিল করেন।
জলপাইগুড়ির কর্মসূচিতে শান্তনু ঠাকুর ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সোমা ঠাকুর। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিএএ প্রসঙ্গ তোলেন শান্তনু। তাঁর দাবি, সিএএ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। যাদের এখন বাংলাদেশের নথিপত্র আছে তাদের সহজেই নাগরিকত্ব মিলছে। পরের ধাপে যাদের বাংলাদেশের নথিপত্র নেই তাদের বিষয়টি দেখা হবে।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার প্রসঙ্গে শান্তনু বলেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেখছেন। হিন্দুদের উপর সে দেশে অত্যাচার হলে তার দায় সেখানকার সরকারের। আমরা ভারত সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করব না।
তবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় আমরা ব্যথিত। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে কথা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে হিন্দুরা যদি এদেশে চলে আসেন তাহলে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। মুখে বঙ্গভঙ্গ চাই না বললেও উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় শাসন জারির পক্ষেই সওয়াল করেন শান্তনু।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ চিকেন নেক। চীনের নজর আছে। এখান থেকে রাজ্যের রাজধানী কলকাতা অনেক দূরে। ফলে কোন ঘটনা ঘটলে রাজ্য সরকার তা সামাল দিতে পারবে না। সে কারণে আমি মনে করি উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের রুল বা শাসন লাগু হওয়া দরকার। যদিও তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
প্রশ্নের উত্তরে এদিন শান্তনু বলেন, উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। ফলে এখানকার মানুষ যা চাইবেন সেটাই হবে। তৃণমূলের দাবি, এ কথার মধ্যে দিয়ে বাংলাকে ভাগ করার উস্কানি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার সেই চেষ্টা কখনোই সফল হবে না।