দেশের সময় : শুভেন্দু কে সন্দেশখালিতে ঢোকার অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শুভেন্দু অধিকারী ও শংকর ঘোষকে সন্দেশখালিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আদালতের সেই নির্দেশের পরে অবশ্য পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও কিছু সময় পর সন্দেশখালিতে ঢুকতে দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারী ও শংকর ঘোষকে।
আদালতের এই নির্দেশের পর শুভেন্দু বলেন, ‘এটা সন্দেশখালির মায়েদের জয়, তফশিলীদের জয়।’ এটা সন্দেশখালির আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার সকালেই সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সফর সঙ্গী হন শংকর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, বিশাল লামা, তাপসী মণ্ডল ও সুমিতা সিনহা। তবে এদিনও ফের বাধা দেওয়া হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে।
টোটোয় চেপে সন্দেশখালিতে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। টোটোয় বসেই শুভেন্দু বলেন, “এলাকার মানুষ শান্তি চায়। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চায়। শাহজাহানের পালানোর উপায় নেই।”
সন্দেশখালির গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে কথা বলছেন শুভেন্দু :‘আপনারা ভাল আছেন তো?’
‘শাহজাহানের বিরুদ্ধে লড়াই হবে তো?’ শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী গ্রামে প্রবেশ করতেই বেরিয়ে এলেন বাড়ির মহিলারা। নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানালেন বিরোধী দলনেতা। একই সঙ্গে বরণ করে নিলেন তাঁকে। কেউ কেউ আবার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। শুভেন্দু তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁরা এখন কেমন আছেন? লড়াই চালানোর বার্তাও দিলেন বিরোধী দলনেতা।
সন্দেশখালিতে ঢোকার আগে এদিন পাঁচটি ফেরি ঘাটে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। ধামাখালি ঘাট, সন্দেশখালি ঘাট, ভোলাখালি ঘাট, খুলনা ঘাট ও জেলেখালি ঘাটে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। সন্দেশখালির বেশ কিছুটা আগে ধামাখালিতে আটকান হয় শুভেন্দু অধিকারীকে।
ইতিমধ্যেই বিষয়টি ওঠে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী ও শংকর ঘোষকে সন্দেশখালিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় বলে খবর। অন্যদিকে এদিন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাটকেও সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়।
#WATCH | West Bengal LoP Suvendu Adhikari and BJP MLA Shankar Ghosh arrive in Sandeshkhali to meet the locals. pic.twitter.com/hfEHB4lUbm
— ANI (@ANI) February 20, 2024
প্রসঙ্গত, গত মাসের প্রথম দিক থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালিতে। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি যান ইডি কর্তারা। সেখানে আক্রান্ত হতে হয় ইডি কর্তাদের। তারপর থেকেই আর কোনও খবর নেই শেখ শাহজাহানের। এদিকে ইতিমধ্যেই শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তম সর্দারকে দল থেকে বহিষ্কারও করেছে তৃণমূল।