Saktikanta Dasমোদীর দফতরে পুনর্বাসন , বড় দায়িত্বে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর, প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি-২ হলেন শক্তিকান্ত দাস

0
4

বড় দায়িত্ব পেলেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি-২ অর্থাৎ, দ্বিতীয় প্রধান সচিব পদে নিযুক্ত করা হলো। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত, অথবা পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত (যেটি আগে হবে) এই পদে থাকবেন শক্তিকান্ত দাস।

দুই মাস! মাত্র এ কদিনই অবসরে ছিলেন শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। ডিসেম্বরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) গভর্নর হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছিল, আর ফেব্রুয়ারিতেই নতুন দায়িত্বে প্রত্যাবর্তন ঘটল তাঁর। এবার তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি-২ (প্রধান সচিব-২) পদে নিযুক্ত হলেন দেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রথম প্রধান সচিব হলেন প্রমোদ কুমার মিশ্র। তাঁর সঙ্গে যৌথ ভাবে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর।

২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ২৫তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন শক্তিকান্ত দাস। তারপর লাগাতার ছ’ বছর ধরে সামলেছেন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দায়িত্ব। ২০২১ সালে তাঁর মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানো হয়। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন সংকট, বিশেষত করোনা মহামারির অর্থনৈতিক অভিঘাত সামাল দিতে তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।

তবে আরবিআই-এর গভর্নর হওয়ার আগে থেকেই তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক নীতির অন্যতম স্থপতি। ১৯৮০ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার শক্তিকান্ত দাস বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকে। একসময় তিনি ছিলেন রাজস্ব সচিব, পরে হন আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত সচিব। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সদস্য হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অবসর গ্রহণের পর সরাসরি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।

শক্তিকান্ত দাসের শিক্ষাজীবনও উজ্জ্বল। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। দীর্ঘ চার দশকের প্রশাসনিক ও নীতিনির্ধারণের অভিজ্ঞতা তাঁকে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অন্যতম চালক করে তুলেছিল। এবার সেই অভিজ্ঞতার প্রয়োগ হবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে।

অর্থনীতি থেকে প্রশাসন— দুই ক্ষেত্রেই তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোদীর ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক পরিসরে তাঁকে নেওয়া মানে অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণেও আরও জোরদার ভূমিকা থাকবে তাঁর। বিশেষত, অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ ইস্যুতে সরকারের যে নীতি পুনর্বিবেচনা চলছে, সেখানে শক্তিকান্ত দাসের মতো অভিজ্ঞ আমলার উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Previous articleWeather Today: আজ সন্ধ্যের পর কলকাতায় তুমুল ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা , প্রবল দুর্যোগের চরম সতর্কতা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here