দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ১৪ জুন অবধি পুলিশ হেফাজত হল ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এরপরই রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর।
পুলিশ গোয়া থেকে রোদ্দুর রায়কে গ্রেপ্তারও করে। গতকাল কলকাতায় আসার পর লালবাজারে ছিলেন রোদ্দুর রায়। বৃহস্পতিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। তাঁর পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী।
মুখ্যমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর আক্রমণের জন্য রোদ্দুরের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগও আনা হয়েছে। রোদ্দুরের মন্তব্য পেনড্রাইভে করে আদালতে পেশ করেন সরকারি আইনজীবী। বলেন, ‘রোদ্দুর যে নোংরা মন্তব্য করেছেন, তা মুখে আনার যোগ্য নয়।’ বৃহস্পতিবার দুপুরেই রোদ্দুরকে আনা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে।
আদালতের চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ময়ূখ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে তাঁর মামলাটি ওঠে। রোদ্দুরকে জামিন দেওয়ার প্রসঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন রোদ্দুরের আইনজীবীরা। রোদ্দুরের আইনজীবীরা ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও তোলেন।
এরপরই আদালত জানিয়ে দেয় রায়। ১৪ জুন অবধি পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে রোদ্দুর রায়কে। ১৫ জুন তাঁকে ফের আদালতে তোলা হবে। এদিন আদালতের বাইরে রোদ্দুরের সমর্থনে হাজির হয়েছিল বেশ কিছু সংগঠন। রোদ্দুরকে নিয়ে পুলিশের গাড়ি যখন আদালত চত্বরে ঢোকে, ইউটিউবারের সমর্থনে চিৎকার করতে শোনা যায় ভক্ত এবং সমর্থকদের। সেই ডাকে সাড়া দেন রোদ্দুরও।