নদিয়া, চাপড়া :দোলের সকালে নদিয়ার চাপড়ায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। টোটো ও চারচাকার মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু-সহ ৭ জনের মৃত্যু। আহত একাধিক। তাঁদের মধ্যে অনেককেই ইতিমধ্যেই চাপড়া হসাপাতাল ও বেশ কিছুজনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে।
শুক্রবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার চাপড়ায়। টোটোর সঙ্গে চার চাকা গাড়ির সংঘর্ষে এই ঘটনা ঘটে। আহত আরও বেশ কয়েকজন। চাপড়া থানার চারাতলা পেট্রল পাম্পের কাছে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। পরে কয়েকজনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে এক শিশু, চার মহিলা রয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই টোটোর যাত্রী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোলের দিনে টোটো গাড়ি করে ইদের বাজার করতে এসেছিলেন একই পরিবারের কয়েকজন। চাপড়ায় এসে সেখানে কেনাকাটার পরে বাড়ি ফেরার সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। চারাতলা পেট্রল পাম্পের কাছে টোটোর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ওই গাড়ির। গাড়ি এবং টোটোর যাত্রীরা গুরুতর জখম হন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে এক শিশু-সহ তিন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ওই দুর্ঘটনায় আহত আরও ১০ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখানে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের জেরে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে ওই গাড়িটি, টোটোটির অবস্থাও সেরকমই।
জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে এক শিশু এবং এক মহিলার বাড়ি নাকাশিপাড়া থানার তেঘরি গ্রামে। আর একজন মহিলার বাড়ি চাপড়ার বৃত্তিহুদা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে তাকরিন মল্লিক (২) এবং সান্তা মণ্ডলের (৩০) তেঘরী। দুর্ঘটনায় মৃত রহিমা শেখের বাড়ি চাপড়া থানার হুদা গ্রামে । এছাড়াও ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন পরভিনা বিবি, অমিত ঘোষ এবং পুতুল মল্লিক।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর একটি যাত্রিবাহী বাসে করে আহতদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল স্থানীয়রা। ওই বাসের চালক এবং কন্ডাক্টর তাঁদের নিয়ে যেতে রাজি হননি। এই কারণে ওই বাসের দরজা-জানলা ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাপড়া থানার পুলিশ।