Kolkata Fire: মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মেছুয়া বাছার সংলগ্ন ওই হোটেলে আগুন লাগে। প্রায় ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের তালিকায় ভিনরাজ্যের একাধিক বাসিন্দা রয়েছেন।
মেছুয়া বাজারে হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, এদের মধ্যে ২ জন শিশু, একজন মহিলা এবং ১১ জন পুরুষ।
ঘটনায় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এরই মধ্যে নিহতদের পরিবার পিছুি ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য মাথা পিছু ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এই সাহায্য করার কথা জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মেছুয়া বাজার সংলগ্ন ওই হোটেলে আগুন লাগে। ওইসময় হোটেলে ৮৮ জন গেস্ট ছিলেন। আটঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হোটেলে আগুন লাগার পর প্রাণ বাঁচাতে দুই কর্মী ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর হোটেল থেকে একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

মোট ১৩ জনের দেহ হোটেল থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। সবমিলিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে দুই নাবালক-নাবালিকা রয়েছে। মৃতদের মধ্যে ভিনরাজ্যের একাধিক বাসিন্দা রয়েছেন।

হোটেলে আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজাও। ফিরহাদ জানান, মুখ্যমন্ত্রী দিঘা থেকে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন। এদিকে, ঘটনার তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। আগুন লাগার পর থেকে হোটেল মালিক পলাতক বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে গোটা ঘটনায় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
