সঙ্গীতা চোধুরী, অর্পিতা বনিক ও পার্থ সারথি নন্দী,
দেশের সময় :আরজি করের প্রতিবাদে বুধবার রাত ৯টায় আলো নিভল কলকাতা সহ বনগাঁর বিস্তীর্ণ অংশে, মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালিয়ে তিলোত্তমার ‘বিচার চাই’ স্লোগানে মুখরিত হল গোটা বাংলা ।
‘তিলোত্তমা’র জন্য বিচার চেয়ে -‘বিপন্ন আগমনী’ কবিতা লিখে ‘দেশের সময় ‘ -এর দফতরে পাঠালেন কবি মেঘবর্ণা কুন্ডু। চীনের সাংহাই থেকে ছবি এঁকে পাঠালেন নবনীতা সাহা। কন্ঠে – বাচিক শিল্পী তাপসী সিংহ। দেখুন সেই ভিডিওটি
অগস্টের ১৪ তারিখ আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মধ্যরাতে পথের দখল নিয়েছিল স্লোগান, মশাল, মিছিল। সেই ডাক ছিল সমাজমাধ্যমে হওয়া পোস্টে। এ বার সরাসরি কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে আরজি করে। প্রথমে আহ্বান ছিল, সবাই যেন ঘরের বৈদ্যুতিন আলো নিভিয়ে মোমের আলোয় প্রতিবাদ জানান। পরে তা বদলে যায়। মোমের আলোয় আলোর পথ তৈরি করার ডাক আসে বিভিন্ন মহল থেকে। তাতে সায় দেয় জুনিয়ার চিকিৎসকদের দলও।
আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকেরা ধর্নামঞ্চ তৈরি করেছেন। সেখানে ফুল এবং প্রদীপ দিয়ে সাজানো হয়েছে ।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের সামনে দীপ জ্বেলে প্রতিবাদে সামিল হাজার হাজার মানুষ ।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও বুধবার রাত ৯টায় আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। সঙ্গে রাজ্যপালের বার্তা, ‘‘যখন আলোতেই ভয়, তখন অন্ধকার প্রিয় হয়ে ওঠে।’’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এবং নাগরিক সমাজ যাদবপুর থানা এলাকায় দীপ জ্বেলে প্রতিবাদে সামিল হলেন এদিন।
বুধবার রাতে আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাকে মূলত সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছেন। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও পিছিয়ে নেই। বিজেপি, সিপিএম পথে নেমেছে। হাওড়ার মিছিলে শামিল হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শ্যামবাজার চত্বরেও জমায়েত হয়েছে। সমাজের সব স্তরের মানুষ ভিড় করেছেন বিচারের দাবিতে।
বুধবার রাতে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় নাগরিকদের জমায়েত হয়েছে। সন্তোষমিত্র স্কোয়্যারেও মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বুধবার সন্ধ্যা থেকেই পথে নেমেছেন রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। প্রত্যেকের মুখেই বিচারের আশা।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই শুনানি স্থগিত হয়ে গেলেও, রাত দখলে নামলেন পুরুষ-মহিলা সবাই। রাত ৯টা বাজতেই একে একে নিভে যায় আলো। ভিক্টোরিয়া থেকে শুরু করে শহরের সব বহুতল অন্ধকারে ডুবে যায়।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, বারাসত,ব্যারাকপুরেও রাত পাহারা শুরু। কেউ ছবি আঁকছেন, আবার কেউ নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ করছেন। সবাই চান সুবিচার। রায়গঞ্জ, তমলুক, ডায়মন্ড হারবার সর্বত্র একই ছবি।
বিচারের আশায় আজ ফের রাত জাগছে গোটা বাংলা। আরজি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিয়ে সমাজের সব স্তরের মানুষ নেমেছে রাস্তায়। সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক থেকে শুরু করে শিল্পী, রাজনীতিক সহ অনেকেই প্রতিবাদে সামিল ।
ছবি – দেশের সময় ।
কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলা শহরের বিস্তীর্ণ অংশে, ‘তিলোত্তমা’র জন্য কবিতা -‘বিপন্ন আগমনী’ দেশের সময় ~এর দফতরে লিখে পাঠালেন কবি মেঘবর্ণা কুন্ডু I চীনের সাংহাই থেকে ছবি এঁকে পাঠালেন নবনীতা সাহা । কন্ঠ – বাচিক শিল্পী তাপসী সিংহ I