কলকাতা: এবার আরজিকর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিতে রাজপথে মিছিলে হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হাজরা মোড়ে প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে এই কর্মসূচির কথা জানান মমতা নিজেই।
তৃণমূল নেত্রী জানান, আরজিকর কাণ্ডে দোষীর ফাঁসির দাবিতে আগামী ১৬ অগস্ট মৌলালি মোড় থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি বলেছিলাম, রবিবারের মধ্যে কিনারা না করতে পারলে সিবিআইকে তদন্তভার তুলে দেব। এখন সিবিআই তদন্ত করছে। আগামী রবিবারের মধ্যে সিবিআইকে ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে। আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা বললেন, আমার সঙ্গে পুলিশ কমিশনার কথা বলেছেন। সারারাত আমি ঘুমাইনি। এক মাসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়েছে। বারো ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যাতে আর পাঁচটা কেসের মতো এক্ষেত্রেও দীর্ঘসূত্রিতা না করে তাই এই মন্তব্য করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
প্রসঙ্গত এর আগে এই প্রসঙ্গে পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “সিবিআইয়ের সাকসেস রেট খুব কম। সিঙ্গুরে তাপসী মালিকের খুনীকে আজও গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। নন্দীগ্রামে ১৪ জনের গণহত্যা থেকে রবীন্দ্রনাথের নোবেল কোনও কিছুরই কিনারা করতে পারেনি সিবিআই।”
আরজিকর কাণ্ডের পরই এ ব্যাপারে কড়া বিবৃতি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। পরিবার চাইলে সিবিআই তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছিলেন মমতা।
সেদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি মামলাটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। যদিও আমি মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নই, তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অভিযুক্তদের ফাঁসি দেওয়া হবে। তাদের কঠোরতম শাস্তি পাওয়া উচিত।’ পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত হোক বা যে কোনও তদন্ত হোক, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কারণ রাজ্য সরকারের কিছু লুকোনোর নেই। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
পরিবার কী ধরনের পদক্ষেপ চাইছেন, তদন্তের বিষয়ে তাঁদের কোনও বক্তব্য রয়েছে কি না, এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে সোমবার সরাসরি নিহত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।