কলকাতা: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে যখন রাস্তায় নেমেছেন পড়ুয়ারা, তখনই অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিলেন এক পুলিশ কর্মী! ব্যারিকেডে ধাক্কাও মারেন তিনি! এমনই অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে সামিল হওয়ার পড়ুয়াদের আরও দাবি, কর্তব্যরত পুলিশ ওই বাইক আরোহীকে সরে যেতে সাহায্যও করে। এই ঘটনার জেরে শনিবার সকাল থেকে অবরুদ্ধ হয়ে যায় বিটি রোডের একটা অংশ। দেখুন ভিডিও
https://youtu.be/vHjKPlkjFcA?si=ZTAHwg3no1Ffi3Z7
ঘটনার সূত্রপাত, শুক্রবার মধ্যরাতে। আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রী খুনের প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তি চেয়ে
রাত ১১টা থেকে সিঁথির মোড়ে শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার একপাশে পথনাটিকা করছিলেন রবীন্দ্রভারতীর পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা। অভিযোোগ, রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ পুলিশের বাইকে করে সেখানে মত্ত অবস্থায় হাজির হয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার।
অভিযোগ, রাতেই ওই মত্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পরিবর্তে কেন ছেড়ে দেওয়া হল, এই প্রশ্ন তুলে এরপরই কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মীকে পুলিশকে আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন রবীন্দ্রভারতীর পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা। ঘটনার জেরে ডানলপ-শ্যামবাজার রুটে সিঁথির মোড় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
ভোরের আলো ফুটলে আন্দোলনে সামিল হন স্থানীয় মানুষজনও। তাঁদের বক্তব্য, “একই ঘটনা যদি সাধারণ কোনও মানুষ করতেন, তাহলে পুলিশ কি তাঁকে ছেড়ে দিত? আইন সকলের জন্য সমান হবে না কেন?”
এরপরই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁকে ছেড়ে দেওয়া পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপের দাবিতে রাস্তা অবরোধ শুরু হয়।
অবশেষে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু হল। অভিযোগ দায়ের হল সিভিক ভলান্টিয়ারকে ছেড়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে।
সবমিলিয়ে টানা ৫ ঘণ্টা পুলিশকে আটকে রাখার পর দাবি মেনে নেওয়ায় অবরোধ তুলে নিলেন আন্দেলনকারীরা। এই মুহূর্তে অবরোধ উঠে গেলেও বিটিরোড কার্যত অবরুদ্ধ। ধীরে ধীরে রাস্তা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।