দেশের সময়, কলকাতা:আর জি করে মহিলা চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুর পিছনে কাদের হাত রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে। যারা এই কাজ করেছে, তাদের দ্রুত শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন মৃত চিকিৎসকের সহপাঠী ও সহকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে তৎপর পুলিশও। মাঝরাতেই এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে। সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।লালবাজার সূত্রে খবর, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই ওই যুবককে ধরা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার হলঘর থেকে এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তরুণীর মুখ, পেট, ঠোঁট, গলা এমনকি, যৌনাঙ্গেও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। কী ভাবে সে সব ক্ষত তৈরি হল, তা রিপোর্টে স্পষ্ট নয়। তরুণীর পরিবারের লোকজনের দাবি, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের পাশাপাশি ধর্ষণের মামলাও রুজু করেছে টালা থানার পুলিশ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরজি কর হাসপাতালে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, তরুণীর খুন এবং ধর্ষণের কিনারা করতে হবে এবং প্রকৃত দোষীকে শাস্তি দিতে হবে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে।