RG Kar Doctor Deathধর্ষকদের এনকাউন্টারের দাবি অভিষেকের,বিল আনার পক্ষে সওয়াল তৃণমূল সাংসদের

0
193
হীয়া রায়, দেশের সময়

আরজি কর কাণ্ডের পর আইন সংশোধনের দাবি! অভিষেক বললেন, ‘এমন মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই’,

‘ধর্ষকের কোনও আলাদা পরিচয় হয় না, সে ধর্ষকই’, মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অভিষেকের কথায়, যে ঘটনা ঘটেছে তা মর্মান্তিক, নারকীয়। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের অবস্থান জানিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত গ্রেফতারও হয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনায় আইন করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন অভিষেক। অভিষেক বলেন, “আমি মনে করি আইনসভায় এমন কঠোর আইন আনা দরকার, যেখানে সাত দিনের মধ্যে খুনি ধর্ষকদের একদম এনকাউন্টার করে মারা উচিত।
দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি। কেন বছরের পর বছর ট্রায়াল চালাবেন মশাই? এক বছরে ৭৩ হাজার টাকা খরচ। পাঁচ বছর জেলে রাখলে সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ। কেন?”

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলে আইন সংশোধনের দাবি তুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, এই ঘটনা মর্মান্তিক। তবে ভবিষ্যতে যাতে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে তার জন্য আইন সংশোধন প্রয়োজন। একই সঙ্গে, অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করে অভিষেক এও বলেন, ”এমন মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের কঠোর শাস্তির কথা বলেছেন। তিনি এও জানিয়েছেন, সিবিআই বা অন্য কেউ এই ঘটনার তদন্ত করলে তাঁর আপত্তি নেই। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু তদন্তের কথা বলছেন না। তাঁর বক্তব্য, ”এমন মানুষের কি বেঁচে থাকার কোনও অধিকার আছে? এখন মামলা রুজু হয়েছে, কেস চলবে। কিন্তু বিজেপি সরকারের উচিত এমন অপরাধ রুখতে আইন সংশোধন করা। স্পিডি ট্রায়াল করে যত দ্রুত সম্ভব দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমরা চাই।”

অভিষেক বলছেন, অর্ডিন্যান্স করে বিজেপির আইন সংশোধন করা উচিত। সেই বিল তৃণমূল, কংগ্রেস সহ বাকিদের সমর্থন করা উচিত। এমন আইন করা উচিত যাতে ৭ দিনে এই ধরনের ঘটনার শাস্তি হয়। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপিকেও নিশানা করেছেন তিনি। অভিষেকের খোঁচা, ইডিকে নিয়ে কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স আনতে পারে, আর এই মামলা নিয়ে আনতে পারে না! পাশাপাশি যারা ঘটনার পর থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি চেয়ে বা তৃণমূল সরকারকে বিঁধে মন্তব্য করছে তাদের রাজনীতি না করার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস এবং বিলকিস বানোর প্রসঙ্গও টেনে আনেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, একাধিক রাজ্যেই এমন ঘটনা ঘটে। হাথরাসের কথা সকলের মনে আছে। সেখানে তো মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনা এখন যদি উত্তরপ্রদেশে হত তাহলে দেহ মিলত না। বিলকিস বানোর ঘটনাতেও সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। তৃণমূল সাংসদ বলছেন, ”উন্নাও, হাথরাস, নির্ভয়া সমষ্টিগত ব্যর্থতা। রাজনীতি না করে আমাদের সকলের একজোট হয়ে এর বিরোধিতা করা উচিত।”

১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের। এদিকে তার ফাঁসির দাবিতে শোরগোল চলছে রাজ্যে। যদিও এই অবস্থায় একটুও ‘বিচলিত’ নয় সঞ্জয়। বরং এখনও রয়েছে নিজের মেজাজেই! সূত্রের খবর, সঞ্জয় নিজেই তদন্তকারীদের বলেছে, তাঁকে ফাঁসি দিলে দিয়ে দিতে। গ্রেফতারির পর থেকে এখনও পর্যন্ত তার চোখে-মুখে অনুশোচনার লেশমাত্র ধরা পড়েনি। তাই অনুমান করা হচ্ছে, একেবারে নিজে সজ্ঞানে এই নৃশংস কাজ করেছে অভিযুক্ত। ইতিমধ্যে এও জানা গেছে, ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায় ছিল সঞ্জয়। গভীর রাতে ঘুম থেকে টেনে তুলে ওই তরুণীর ওপর ভয়ানক অত্যাচার করেছে সে।

অভিষেকের কথায়, উত্তর প্রদেশে হোক, মহারাষ্ট্রে হোক, কর্নাটকে হোক বা বাংলায় হোক, সমাজের পক্ষে এ ধরনের ঘটনা লজ্জার, দুর্ভাগ্যের, নারকীয়। কেন এত সময় লাগবে ট্রায়াল হতে? অভিষেকের বক্তব্য, “এটা উত্তর প্রদেশে হলে মৃতদেহও পাওয়া যেত না। হাথরসের কথা মনে আছে। আইনসভায় আইন আনতে হবে, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। তারপরই সব হবে।”

Previous articleRG Kar Doctor Death আরজিকরে ধুন্ধুমার,পুলিশ-আন্দোলনকারীদের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি
Next articleDesher Samay ePaper দেশের সময় ই পেপার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here