RG Kar case ঝড়ের বেগে সময়ের আগেই. সিবিআই দফতরে ঢুকলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক চোখে
শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সের পিছনের গেট দিয়ে সিবিআই অফিসে প্রবেশের সময় নিজে থেকেই মিডিয়ার কাছে এগিয়ে এসে বেশ জোর গলায় বলেছিলেন, “কারা রটিয়ে দিয়েছে, আমাকে নাকি গ্রেফতার করা হয়েছে, এটা ঠিক নয়! আমাকে গ্রেফতার করা হয়নি।” এও জানান, তিনি সিবিআইকে তদন্তে সবদিক থেকে সহযোগিতা করছেন।
পর পর তিন দিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সদ্যপ্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। শুক্রবার এবং শনিবার টানা জেরা করা হয়েছিল তাঁকে। তার পর রবিবার তাঁকে আবারও সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়। সকাল ১১টা নাগাদ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রবিবার, সওয়া ১০টা নাগাদ তিনি বেলেঘাটায় নিজের বাড়ি থেকে বার হন। তবে ১১টা বাজার অন্তত ২০ মিনিট আগে. ঝড়ের গতিতে সিজিও পৌঁছন সন্দীপ।
সিজিওর সামনে গাড়ি থামতেই চোখের পলকে গাড়ি থেকে নেমেই এক ছুটে সিবিআই অফিসে ঢুকে পড়লেন সন্দীপবাবু। চোখে, মুখে কি চিন্তার ছাপ? মেলেনি সদুত্তর।
ঠিক যেমন, শনিবার প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা জেরার পর গভীর রাতে সিজিও থেকে বেরনোর সময় মিডিয়াকে দেখে ‘রা’ও কাড়েননি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ!
এরই মাঝে শনিবার রাতে সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করে সন্দীপবাবু এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জেরার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এ ব্যাপারেও সন্দীপবাবুর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে প্রকৃত ঘটনা আড়ালের অভিযোগ আগেই এনেছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা এবং নির্যাতিতার পরিবার। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে এ ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। ঘটনা আড়াল করার অভিযোগ সত্যি হয়ে থাকলে তাতে অধ্যক্ষর জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার হাজিরা দেননি অধ্যক্ষ। পরিবর্তে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে শুক্রবার তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপরই রাস্তা থেকে অধ্যক্ষকে তুলে শুক্রবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। ছাত্রীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় অধ্যক্ষ কেন বৃহস্পতিবার তদন্তকারীদের হাজিরা এড়িয়ে গেলেন তদন্তে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরজি করে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পরেই সন্দীপের নাম প্রকাশ্যে আসে। চিকিৎসক এবং পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, সন্দীপ অত্যন্ত ‘প্রভাবশালী’। এই তদন্ত প্রক্রিয়াকেও তিনি প্রভাবিত করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠেছিল আরজি কর থেকে। এর মাঝে গত সোমবার সন্দীপ সংবাদমাধ্যমের সামনে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমাও দেন। আরজি করের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকের পদ ছেড়ে দেন সন্দীপ।