হুগলি: রবিবার পুরীর জগন্নাথ দেবের পাশাপাশি সারা দেশ জুড়ে মহা ধুম ধাম করে পালিত হল রথযাত্রা। কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ভক্তের ঢল নেমেছে রথের রশি টানার জন্য। দেখুন ভিডিও
এদিন সকাল সকাল রথের দড়িতে টান, এটা চন্দননগরের বহু প্রাচীন প্রথা। নিয়ম বারবেলার আগেই টানতে হবে রথ। ১৭৭৬ সালে এই রথ যাত্রার সূচনা করেছিলেন চন্দননগর লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী যদুবেন্দ্র ঘোষ।
কথিত আছে, তিনি পুরী শ্রীক্ষেত্রে যেতে না পেরে জগন্নাথ দেবের স্বপ্নাদেশে এই রথের সূচনা করেন। যদিও বর্তমানে যে রথটি টানা হয়, সেই রথটি চন্দননগরের ব্যবসায়ীদের তৈরি সম্পূর্ণ লোহার রথ। আগে ছিল কাঠের রথ কিন্তু সেটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় পরবর্তীকালে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ৬০ টন ওজনের এই রথ তৈরি করা হয়।
এবছর রথ দেখতে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে চন্দননগরের রাস্তায়। প্রাচীন নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী রবিবার সকালে প্রথম টান হয় চন্দননগরের রথে। এরপর পুনরায় বিকেল তিনটের সময় চন্দননগরের জিটি রোড ধরে মাসির বাড়ি তালডাঙার উদ্দেশে যাত্রা করেন জগন্নাথ দেবের রথ। রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে চন্দননগর লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার চত্বরে উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। মোতায়েন কিরা ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিন সকালে রথযাত্রার সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের মহানাগরিক রাম চক্রবর্তী, উপ মহানাগরিক মুন্না আগারওয়াল সহ চন্দননগর পুর নিগমের কাউন্সিলররা।
চন্দননগোরে রীতি মেনে আড়াইশ বছর ধরে চলছে পুরোনো রথের রশিতে টান। চন্দননগর ছাড়া রথযাত্রা উপলক্ষে শহর ও গ্রাম অঞ্চলেও রথ বেরিয়েছে। মেলাও বসেছিল এদিন ।