দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ হাওড়ার শিবপুরের গোলমালের ঘটনায় এবার বিহার থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সুমিত শাউ নামে ওই যুবককে বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ।
অভিযোগ উঠছে, শিবপুরের গোলমালের দিন ওই যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, সঙ্গে অস্ত্র থাকার বিষয়টি জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত সুমিত শাউ। মামলাটি সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শিবপুরের গোলমালের ঘটনায় রাজ্যের শাসক শিবির থেকে বার বার অভিযোগ তোলা হয়েছিল, অস্ত্র নিয়ে মানুষকে প্ররোচিত করছিল একাংশের মানুষ। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, অস্ত্র হাতে গোলমালে ইন্ধনের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে বন্দুকধারী এক যুবকের ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই যুবককে বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করল হাওড়া পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে। বর্তমানে রামনবমীর মিছিলে গোলমাল এবং তৎপরবর্তী ঘটনাবলির তদন্ত করছে সিআইডি।
এদিকে ওই অভিযোগের পর থেকেই এলাকা থেকে বেপাত্তা ছিল ওই যুবক। হাওড়া সিটি পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধান চালাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বিহারের মুঙ্গের থেকে সুমিত শাউ নামে বছর ১৯-এর ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, হাওড়ার মালিপাঁচঘরা এলাকায় বাড়ি ধৃতের।
এদিকে ওই অভিযুক্তর গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। তৃণমূল মুখপাত্র তথা শাসক দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, এই সুমিত শাউ স্বীকার করে নিয়েছে, তার কাছে বন্দুক ছিল। কুণালের প্রশ্ন, ‘এই মুঙ্গের বাহিনীকে হাওড়ায় এনে গন্ডগোল করাল কারা? কাদের প্ররোচনায় মুঙ্গের থেকে এখানে অস্ত্র? এই সব তদন্ত করবে সিআইডি। একজন চক্রান্তকারীও যেন ছাড়া না পায়।’ বিরোধীদের উদ্দেশেও কড়া আক্রমণ শানিয়ে কুণালের বক্তব্য, ‘বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে।’
অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস নানান রকমের ষড়যন্ত্র করছে। এর কোনও স্বচ্ছ্ব তদন্ত না হলে এই পুলিশ ও সিআইডির উপর ভরসা করার কোনও যৌক্তিকতা নেই। আমি মনে করি নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সত্য বেরিয়ে আসবে।’