দেশের সময় কলকাতা : আরজি কর-কাণ্ডের পটভূমিতে তৈরি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করে বিতর্কে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার। ছবির প্রযোজনা করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী। এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ছবি তৈরির বিষয়টি মেনে নিল না তৃণমূল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল, প্রান্তিক এবং রাজন্যাকে সংগঠনের পদ থেকে সাসপেন্ড করা হল।
আরজি কর নিয়ে শর্টফিল্ম বানিয়ে দলের শাস্তির কোপে পড়েছেন টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার ও প্রান্তিক চক্রবর্তী। শুক্রবার রাতে এক প্রেস বিবৃতিতে একথা জানান টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
তবে দলের শাস্তিকে মাথা পেতে নিলেও আরজি কর নিয়ে টেলিফিল্মের পথ থেকে সরে আসছেন না রাজন্যা। তাঁর কথায়, “প্রচ্ছদ দেখে গোটা উপন্যাসের বিচার করা ঠিক নয়।”
ঘনিষ্ঠ মহলে রাজন্যা এও জানিয়েছেন, ‘ছবিটি মুক্তি পেলেই আশাকরি সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে। তখন হয়তো সকলে বুঝতে পারবেন কী কারণে এই টেলিফিল্ম।’
২০২৩ সালে একুশে জুলাইয়ের শহিদ মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠে সকলের নজর কেড়েছিলেন টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার। সম্প্রতি আরজি কর নিয়ে একটি শর্টফিল্ম বানিয়েছেন রাজন্যা ও দলের অপর ছাত্র নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী।
শুক্রবার সন্ধেয় এব্যাপারে সোশ্যাল মাধ্যমে সরব হন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। টুইটে কুণাল লেখেন, “এই স্পর্শকাতর বিষয়কে প্রচারে ব্যবহার করার চেষ্টার আমরা বিরোধী। দল এবিষয়ে কিছুই জানত না। যে বা যারা এর সঙ্গে জড়িত, খতিয়ে দেখে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বকে বলা হয়েছে।”
কেন শাস্তির পদক্ষেপ তার ব্যাখ্যায় কুণাল এও লেখেন, “যেকোনও ব্যক্তির স্বাধীনতা আছে সৃষ্টিতে। কিন্তু তদন্তাধীন এই মর্মান্তিক ঘটনাকে দলের সঙ্গে জড়িত কেউ যদি ছবির প্রচারে ব্যবহার করে দল তার দায়িত্ব নেবে না। দল এ বিষয়ে কোনও অনুমতি দেয়নি, দল জানতো না।”
এরপরই টিএমসিপির তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে রাজন্যা ও প্রান্তিককে সংগঠন থেকে সাসপেন্ড করার কথা জানানো হয়।