আপির্তা বনিক : দেশের সময়
অনেকদিন কেউ চুলের ফাঁকে বিলি করে
রোপন করেনি বৃষ্টিদানা।
অনেকদিন অনাবৃষ্টির এই শহরে
সুবর্ণার জন্য বিজ্ঞাপিত হয়নি মায়া।
জল আর সবুজের ছবিতে চড়া রোদের প্রলেপ,
তোমাকে ছুঁয়ে থাকা যায় না আর।
শুকনো ঠোঁটে চুম্বন নেই,আড়ষ্ট জিভ।
তোমাকে বলতে পারি না..
চাষের জমি আর রাস্তার ডিভাইডার
আমাদের মনে আল দিয়ে দেয়।
জল পারাপার হয় না ধূসর শরীরে,
অনেক মিলন কল্পনায় অভিমানের বীজ বোনে।
সুবর্ণা,অনেকদিন আমরা একসাথে ভিজতে যাইনি বলে
মরে গেছে বৃষ্টির চারাগাছগুলো….
কবি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৃষ্টিগাছ কবিতা মনে করিয়ে দিল বনগাঁ শহরের যশোর রোডের দু’ধারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়ের মতন শিরিষ গাছের কথা৷ যার ছায়ায় বসে কেউ দুঃখের কথা বললে, গাছ তার দুঃখ যেন দূর করে দেয়। মনে হয় পাখিরা, এসে কথা বলছে।
আষাঢ়ের বর্ষায় যে গাছের নিচে দাঁড়ালেই বৃষ্টি ঝরে। সঙ্গে মিষ্টি সুবাস। অনেকের কাছে এই গাছ রেইন-ট্রি বা বৃষ্টিগাছ নামেও পরিচিত ৷ দেখুন ভিডিও
বৃষ্টিগাছ বা রেইন ট্রি এদেশের যত্রতত্র আপনা আপনিই জন্মায় বলে একে এ দেশের আপন বৃক্ষ বলেই মনে হয় , যদিও এর আদি নিবাস বহুদূরে সেই দক্ষিণ ব্রাজিলে ৷ ঝড় প্রতিহত করার জন্য এবং ছায়ার জন্য বৃষ্টিগাছ তুলনাহীন। রেইন ট্রি অত্যন্ত দ্রুত বাড়ে। তাই বনায়নের জন্য ইদানীং আমাদের দেশে এর চাষও শুরু হয়েছে।
বিশলতার দিকে থেকে বট-অশ্বথের পরেই রেইন ট্রি-র অবস্থান। উচ্চতা ও শাখা-প্রশাখার বিস্তৃতিতে তরুরাজ্যে সে স্বতন্ত্র ৷ যশোররোডের দু’ধার সহ বাংলার প্রায় সব অঞ্চলেই পথের ধারে ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সবুজ পাতায় সজ্জিত বিশালাকায় এই বৃষ্টি গাছেদের।
মরসুমের প্রথম বর্ষণের ছোঁয়াতেই এই গাছ সবুজ রূপে ফিরে আসে। তখন বৃষ্টিগাছকে বিশাল সবুজ ক্যানভাস বলে মনে হয়।