দেশের সময় , অশোকনগর : সকালে কর্মস্থলের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে সমস্যায় পড়লেন লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা। শুক্রবার সকালে অবরোধের জেরে থমকে গেল শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার ট্রেন চলাচল। লাইনে দাঁড়িয়ে একের পর এক ট্রেন। এই শাখায় প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করেন। সেই রুটেই আপ ও ডাউন লাইনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় সকাল থেকে। অশোকনগর স্টেশনে শুরু হয় অবরোধ।
এদিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ডাউন মাঝেরহাট লোকাল অশোকনগরে পৌঁছতেই যাত্রীদের একাংশ অবরোধ করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই এই মাঝেরহাট লোকাল নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে যাত্রীদের মধ্যে।
যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন কখনও মাঝেরহাট পর্যন্ত যায় না। কখনও বারাসাতে গিয়ে থেমে যায়, আবার কখনও কলকাতা স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে থেমে যায়। ফলে অসুবিধায় পড়তে হয় যাত্রীদের। দিনের পর দিন এই সমস্যা চলতে থাকায় আজ অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, মাঝেরহাটে যাওয়ার সব লোকাল ট্রেনই অনিয়মিত চলে। এই অবরোধের ফলে আপ এবং ডাউন বনগাঁ শিয়ালদহ শাখার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এদিন।
লোকাল ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করার প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকেই অবরোধ শুরু হয়েছিল অশোকনগর রোড স্টেশনে। অবরোধ চলার কারণে বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকালে ব্যাহত হয় ট্রেন পরিষেবা। আপ এবং ডাউন লাইনে পর পর দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক ট্রেন। ব্যস্ত সময়ে এই ঘটনার জেরে বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। প্রায় দু’ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে ঘটনাস্থলে আসে জিআরপি। লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক জনকে আটকও করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ গড়ায় ট্রেনের চাকা।
অবরোধকারীদের বক্তব্য, বনগাঁ থেকে ছাড়া মাঝেরহাট লোকাল অধিকাংশ দিন মাঝেরহাট স্টেশন পর্যন্ত যায় না। কখনও বারাসত, কখনও কলকাতা স্টেশনে গিয়ে থেমে যায় ট্রেন। এ ভাবে মাঝেরহাট লোকালের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করার প্রতিবাদেই শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা।
কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর শাখার ফুলেশ্বর স্টেশনে এই লোকাল ট্রেন নিয়ে বিক্ষোভের জেরেই অবরোধ হয়। অভিযোগ ছিল, ট্রেন লেট হওয়া নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে গিয়েছে। ফলে, অফিস টাইমে হয়রান হতে হচ্ছে যাত্রীদের। তার জেরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। সে দিন দীর্ঘক্ষণ চলে অবরোধ।
কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা থেকে শুরু করে একাধিক জেলার মানুষ এই শিয়ালদহ ডিভিশনের লোকাল ট্রেনের ওপর নির্ভর করে। সকালে বাজারের বিক্রেতা থেকে শুরু করে অফিস কর্মী, স্কুল পড়ুয়া অনেকেই ট্রেনের ওপর ভরসা করেন। ফলে, সেই ট্রেনে কোনও সমস্যা হলে অসুবিধায় পড়তে হয় যাত্রীদের।