দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মোদীর পদবি ব্যবহার নিয়ে মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধী -কে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বৃহস্পতিবার গুজরাটের সুরাটের একটি আদালতে এই মানহানি মামলার শুনানি ছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সওয়া ১১টায়। আদালতে হাজিরা দিতে যান কংগ্রেস নেতা। আদালতে মোদীর পদবি ব্যবহার করে অবমাননার মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দুই বছরের জন্য জেলের সাজা ঘোষণা করা হয়। তবে এ দিনই জামিনও পেয়ে যান রাহুল।
এদিকে, আদালতের রায় ঘোষণার পরই কংগ্রেসের তরফে সুরাট জুড়ে পোস্টার লাগানো শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী যে মন্তব্য করেছিলেন, তার সুর ধরেই পোস্টারে লেখা, “সমস্ত চোরেদের পদবি মোদী হয় কেন?” বিচারক রাহুল গান্ধীকে দু’বছরের হাজত বাসের সাজা দেন। কিন্তু সুরাতের কোর্টে দাঁড়িয়ে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানালেন রাহুল। তিনি উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে জানান। ফলে আপাতত এই সাজার নির্দেশ স্থগিত করে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালতে আবেদন জানানোর জন্য ৩০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে।
বিচারক রাহুল গান্ধীকে দু’বছরের হাজত বাসের সাজা দেন। কিন্তু সুরাতের কোর্টে দাঁড়িয়ে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানালেন রাহুল। তিনি উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে জানান। ফলে আপাতত এই সাজার নির্দেশ স্থগিত করে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালতে আবেদন জানানোর জন্য ৩০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে।
২০১৯ সালে কর্নাটকের ভোটের প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন, ‘দেখা যাচ্ছে যাঁরাই দুর্নীতি করছেন তাঁদেরই পদবী মোদী। নীরব মোদী টাকা লুঠ করে পালিয়ে গিয়েছেন। আর যিনি তাঁকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন তিনিও একজন মোদী। দু’জনেই একই রাজ্যের।’
রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই গুজরাটের সুরাটের বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পুর্ণেশ মোদী রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। অভিয়োগ করা হয়েছিল, রাহুল গান্ধী এই বিতর্কিত মন্তব্য করে গোটা মোদী সম্প্রদায়কেই অপমান করেছেন। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে শেষবার এই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সময় তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়।
সেই মামলারই এদিন চূড়ান্ত রায় দান ছিল। সশরীরে সুরাতের আদালতে হাজির ছিলেন রাহুল। দোষী সাব্যস্ত করার পর, সাজা ঘোষণার আগে রাহুলকে বিচারক জিজ্ঞেস করেন, আপনার কিছু বলার আছে? আপনি কি অনুতপ্ত? জবাবে রাহুল বলেন, ‘রাজনীতির মঞ্চ থেকে রাজনীতির কথা বলেছি। এখানে অনুতাপের কোনও বিষয় নেই।’ মামলাকারীর আইনজীবীরা তখন আর্জি জানান, রাহুল গান্ধী একরোখা মনোভাব দেখাচ্ছেন। ওঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।
তারপর বিচারক রাহুলকে দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনান। পাল্টা রাহুল বলেন, তিনি এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে যাবেন। যেহেতু তিন বছরের কম কারাদণ্ডের সাজা তাই সুরাতের ওই আদালতই রাহুলের জামিন মঞ্জুর করে। তাঁকে নির্দেশ দেয়, জেলযাত্রার এই সাজা আপাতত ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করা হল। এই সময়ের মধ্যে রাহুলকে উচ্চতর আদালতে পিটিশন দাখিল করতে হবে। তারপরেই আদালত থেকে বেরিয়ে যান রাহুল।
আদালতে রায় ঘোষণার পরই রাহুল গান্ধীর আইনজীবী বলেন, “শুরু থেকেই বিচার ব্যবস্থায় গাফিলতি ছিল। এই মামলায় বিধায়ক পুর্ণেশ মোদী নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগ জানানো উচিত ছিল,কারণ রাহুল গান্ধী তাঁর বক্তব্য়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন।”
সন্দেহ নেই এই মামলায় রাজনীতি ঠাসা রয়েছে। বিজেপির বক্তব্য, মোদীর সঙ্গে রাজনীতিতে লড়তে না পেরে রাহুল ব্যক্তি আক্রমণে চলে গিয়েছেন। পাল্টা কংগ্রেসের বক্তব্য, রাহুলকে টার্গেট করে নিয়ে হেনস্থা করছে বিজেপি। এখন দেখার রাহুল কবে উচ্চতর আদালতে আবেদন করেন।