দেশের সময়: জীবনের খারাপ সময়ে আশা আর ভালবাসা ছাড়তে নেই, শিখিয়েছে রবীন্দ্রনাথের গান৷ আজ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত একটি সর্ব ভারতীয় পত্রিকায় লিখেছেন ৷
রবীন্দ্রনাথ আমাদের মহর্ষি। আমাদের অস্তিত্ব। আমাদের সাহিত্য। আমাদের কল্পনার কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের ভাষা।
আমাদের জীবনে যখনই অন্ধকার নেমে আসে, রবীন্দ্রনাথ তাঁর চেতনায় আমাদের অন্তরের আঁধার দূর করেন। জ্বেলে দেন প্রদীপ। ঋতুপর্ণার কথায়, আমাদের সবার জীবনে ছোটবেলা থেকেই গানে কবিতায় নৃত্যনাট্যে বন্ধু হিসেবে, গুরুদেব হিসেবে তিনি সঙ্গে থেকেছেন। বাঙালি বলেই আমরা এই সৌভাগ্যের অধিকারী।
এই যে একটা গান ‘পুরানো সেই দিনের কথা…’। এ যেন মানবজীবনের সংগীত! জীবনে বেঁচে থাকতে থাকতে যখনই আমরা কোনও বাঁকে এসে দাঁড়াই, তখনই যেন গানটা এসে আমাদের ফেলে-আসা জীবনের ভালবাসাকে, সৌন্দর্যকে আমাদের মনের মধ্যে এনে দেয়। এবং পরবর্তী পথে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। জীবন যে কত বড় সম্পদ, জীবনের কোনও ক্ষেত্রেই যে আমাদের আশা ছাড়তে নেই, ভালবাসা ছাড়তে নেই, পুনর্মিলনের অপেক্ষা ছাড়তে নেই, সে কথাই যেন বলে এই গান।
আজ কবিগুরুর ১৬১তম জন্মদিন। গানে-গল্পে-কবিতায় রবি-বরণ৷ জোড়াসাঁকো থেকে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan)। রাজ্যজুড়ে সাড়ম্বরে উদযাপন করা হচ্ছে পঁচিশে বৈশাখ। বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) উদযাপন করা হল কবিগুরুর ১৬১তম জন্মদিন। ভোর ৫টায় বৈতালিক, ৬টায় রবীন্দ্রভবনে কবিকণ্ঠ ও ৭টায় উপাসনা গৃহে বৈদিক মন্ত্রপাঠ, ব্রহ্ম উপাসনা ও রবীন্দ্র সংগীতের মধ্যে দিয়ে পালন করা হল কবিগুরুর জন্মদিন। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী, অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও পড়ুয়ারা।
পাশা পাশি নদীয়ার সিলিন্দা বিবেকানন্দ সংঘ ও সংগীত একাডেমিতে আজ সকাল ১০টায় কবি প্রণাম শুরু হয় , তারপর কবিতা , গানের মাধ্যমে একাডেমির সদস্যরা এদিনের অনুষ্ঠানে যোগদেন৷ সিলিন্দা বিবেকানন্দ সংঘ ও পাঠাগারের ক্লাব সভাপতি পরেশ নাথ সিনহা, ক্লাব সম্পাদক কমল কৃষ্ণ সেন , একাডেমির শিক্ষক জয়দেব সরকার , সংগীত একাডেমির শিক্ষিকা সোমাদেব নাথ সহ ক্লাবের অন্যান্য সদস্য এবং আর্য , রীষা , সুইটি, অষ্মীদের মত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরাও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ কবিগুরুর ১৬১তম জন্মদিনের সকাল গানে-গল্পে-কবিতায় রবি-বরণে পালিত হল মহাসমারোহে।