কলকাতা : আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকারাও। চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতি দিনই কোথাও না কোথাও বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল চলছে। সকলের দাবি, ‘বিচার চাই’।আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার আরজি করের আন্দোলনরত চিকিৎসকরা মিছিল করেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল হলেও, সিনিয়র চিকিৎসকেরাও এদিনের মিছিলে যোগদেন। দেখুন মিছিলের ভিডিও
সাড়ে ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করলেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের গন্তব্য স্থান স্বাস্থ্য ভবন। চিকিৎসকেরা একে অপরের হাত ধরে মিছিল এগিয়ে চলে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে।এরপর চিকিৎসকদের একটি ৩৫ জনের প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য ভবনের ভিতরে ঢুকে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েকের সঙ্গে দেখা করেন বলে জানা গেছে ।
দুপুর আড়াইটে থেকে প্রায় সাড়ে চারটে পর্যন্ত স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক করল জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল। তবে সেই বৈঠক ইতিবাচক নয়, স্বাস্থ্য ভবন থেকে বেরিয়ে স্পষ্ট জানালেন আন্দোলনকারীরা।
সন্দীপ ঘোষের বদলির সিদ্ধান্ত বাতিল-সহ চার দফা দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের ডেপুটেশন জমা দেন তাঁরা। কিন্তু সেই দাবি মানতে গড়িমসি করছে স্বাস্থ্য দফতর, এমনই অভিযোগ তুললেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য ভবন থেকে বেরিয়ে জানালেন, বৈঠকে তাঁরা হতাশ। আন্দোলনারীদের কথায়, ‘‘আমরা প্রথম দিন থেকে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে কয়েকটা দাবি জানিয়ে আসছি। এখানে আমরা বিচার চাইতে আসিনি। আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার সিবিআইকে উত্তর দিতে বলেছে। তবে আমরা স্বাস্থ্য ভবনে এসেছিলাম কিছু নির্দিষ্ট দাবি নিয়ে। আমরা এক ঘণ্টা সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু ওনারা মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন বিষয়টা ভেবে দেখবেন। কোনও আশ্বাস পায়নি। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’ দেখুন ভিডিও
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বদলি সংক্রান্ত যে নির্দেশ স্বাস্থ্য ভবন দিয়েছিল, তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছিল আন্দোলনকারীদের তরফে। উল্লেখ্য, আরজি কর থেকে সরিয়ে সন্দীপকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়। যদিও আদালতের হস্তক্ষেপের পর তিনি এখন ছুটিতে রয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের সময় হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদেরও অপসারণের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি, ১৪ অগস্ট আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনাও বুধবারের বৈঠকে উঠে এসেছে। সে দিন হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদেরও অপসারণের দাবি তোলা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ভাঙচুরের ঘটনার পর থেকেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল হাসপাতালে আসছেন না। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাঁরও অপসারণের দাবি উঠেছে। এখন দেখার চিকিৎসকদের আন্দোলনের রূপরেখা কী হয়।