R G Kar: ‘ধর্ষণ না গণধর্ষণ’,সঞ্জয় কি একমাত্র, নাকি আর কেউ আছে? তিলোত্তমার মামলায় বড় প্রশ্ন তুলে দিল হাইকোর্ট

0
24

তিলোত্তমা মামলায় হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে সিবিআই। গণধর্ষণ নাকি একজনই অপরাধ করেছে, সোমবার হাইকোর্টে শুনানির শুরুতেই জানতে চান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতির প্রশ্ন, গণধর্ষণ না শুধু প্রমাণ নষ্ট? সিবিআই এখনও পর্যন্ত তদন্তে কী জানতে পেরেছে? আর জি কর মামলায় সিবিআইকে কেস ডাইরি আনার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এই মামলার তদন্ত কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে এই মুহূর্তে, তা জানতে চায় আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের  নির্দেশ মোতাবেক সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। যেখানে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের একগুচ্ছ প্রশ্নবাণের সম্মুখীন হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে । কতদূর তদন্ত এগিয়েছে, এই মুহূর্তে তদন্তকারীরা কী করছেন? এহেন যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর নিয়ে কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠাল হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানি ২৮ মার্চ। 

সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী শপথ নেওয়ার পরই প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি হয়। নির্যাতিতার পরিবার সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে পুনরায় তদন্তের দাবি জানায়। আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে তদন্তের আওতায় আনার আবেদনও করেন।

সেই মতো এদিন কলকাতা হাইকোর্টে আরজি করে জুনিয়র ডাক্তার ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানি হয়। আর সেখানেই এক গুচ্ছ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় সিবিআইকে। বিচারপতি ঘোষ জিজ্ঞেস করেন, “এই মুহূর্তে এই মামলায় আপনারা কী করছেন? এটা গণধর্ষণ নাকি তথ্য প্রমাণ লোপাট? এই তদন্তে কোথাও গিয়ে কি আপনাদের মনে হয়েছে যে এটা গণধর্ষণের ঘটনা? কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে? সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই কি একমাত্র অভিযুক্ত নাকি আর কেউ আছে?”

অন্যদিকে, নির্যাতিতার পরিবারের আর্জি, পরবর্তী তদন্ত যেন আদালতের নজরদারিতে হয়। অতিরিক্ত পুলিশসুপার পদমর্যাদার আধিকারিকদের নিয়ে সিট গঠন করারও আবেদন করেন তাঁরা। পাশাপাশি এও জানান, নিরাপত্তারক্ষী এবং নার্সদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপারকেও এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, এ ব্যাপারে যেন স্টেটাস রিপোর্ট চাওয়া হয়, সেই আবেদনও করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। 

পাল্টা রাজ্যের তরফের সওয়াল, “বিশেষ আদালতে আবেদন না জানিয়ে নির্যাতিতার পরিবার কেন হাইকোর্টে এলেন?  চার্জশিট দেওয়া শেষ। বিচারপ্রক্রিয়া শেষ। তারপরও পুনরায় তদন্তের আবেদন করা হচ্ছে কেন? পুনরায় শুনানির প্রয়োজনীয়তা আছে? সিবিআই এতদিন কী করছিল। গোটা দেশ জানতে চায়। ১৫ দিনের মধ্যে সিবিআই তদন্ত শেষ করুক।”   

এরপরই পরিবারের আইনজীবী হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেন, যেন দোষীকেও এই মামলায় যুক্ত করা হয়। যদিও সেটা বিবেচনা সাপেক্ষ বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সওয়াল-পাল্টা সওয়ালের পর সিবিআই-এর থেকে কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার সাড়ে ৩টেয়।

প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই তিলোত্তমার পরিবার দাবি করে আসছিলেন, এই ঘটনার কারোর একার পক্ষে করা সম্ভব নয়, এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। প্রকৃত দোষীদের আড়াল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। সিবিআই তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে সকলকে যুক্ত করছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিলোত্তমার বাবা-মা। এদিন প্রথম শুনানিতেই বিচারপতির গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের মুখে সিবিআই।

Previous articleMuhammad Yunusস্বাধীনতা দিবসেই চিন সফরে ইউনূস , কি ভাবছে নয়াদিল্লি
Next articleBangaon Newsবনগাঁয় মহিলাকে রাস্তায় ফেলে চুলের মুঠি ধরে পেটাচ্ছে যুবক! দেশের সময়- এর ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই দৃশ্য: দেখুন ভিডিও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here