দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের পুনরায় ইন্টারভিউ দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, সেই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে, ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আপাতত কোনও ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁদের চাকরি নিয়েও কোনও অনিশ্চয়তা রইল না। এই ৩২ হাজার শিক্ষকের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, এই ব্যাপারে নতুন করে মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে ৷
গত ১২ মে এক নির্দেশে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও পরে সেই সংখ্যাটা পাল্টে যায়। বিচারপতি তাঁর নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করে জানান, ৩৬ হাজার নয়, ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিচারপতি আরও জানান, তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই শূন্যপদে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। বিচারপতির নির্দেশে বাংলার রাজনীতি ও সমাজজীবন আন্দোলিত হয়েছিল।
চাকরিহারারা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ কিছুটা পরিবর্তন করে। জানায়, এখনই চাকরি যাবে না ৩২ হাজার শিক্ষকের। কিন্তু পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তবে সেই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে ওই ৩২ হাজার শিক্ষককে।
ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরই সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। শুক্রবার বিচারপতি মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দেয়।
এরপাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে হাইকোর্টের নতুন ডিভিশন বেঞ্চে নতুন করে এই মামলার শুনানি হবে। সেখানে মামলাকারীদের বক্তব্য শুনতে হবে। তারপর হাইকোর্টই এই ব্যাপারে চুড়ান্ত রায় দেবে।