দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর প্রথমবার দু’দিনের বঙ্গ সফরের দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার ঘুরেছেন নেতাজি ভবন, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। নেতাজি ইন্ডোরে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া হল নাগরিক সংবর্ধনা। আজ মঙ্গলবার বেলুড় মঠ ঘুরে বিশ্বভারতীতে যাবেন দ্রৌপদী মুর্মু।
এদিন প্রথমেই পুরনো মঠ অফিসে পৌঁছন রাষ্ট্রপতি। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মূল মন্দিরে প্রবেশ করেন। ৮.৫৭ মিনিট নাগাদ বেলুড় মঠের নিজস্ব গাড়ি চড়ে স্বামী বিবেকান্দনের বাড়ি পরিদর্শন করেন।
বেলুড় মঠের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির হাতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের পুজোর ফুল, প্রসাদ, সারদা দেবীর পুজিত সাল, শাড়ি। এছাড়াও ঠাকুর-মা এবং স্বামীজীর উপর লেখা সম্প্রতি যে বই তা উপহারস্বরূপ তুলে দেওয়া হয়েছে।
মূলত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের দর্শনেই বেলুড় মঠে আসা তাঁর।
বেলুড় মঠে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী বারবাহা হাঁসদা, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ, সহ সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসরানন্দ, মন্ত্রী অরূপ রায়, জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল সি বি আনন্দ বোস।
রাষ্ট্রপতির বেলুড় মঠ সফরের আগেই বালি বেলুড় অঞ্চল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
এদিনও সকাল থেকেই একগুচ্ছ ট্রাফিক পরিবর্তন এনেছে লালবাজার। একাধিক রাস্তা বন্ধ থাকার পাশাপাশিই যান চলাচলের জন্য় বিকল্প ব্যবস্থাও রেখেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। কলকাতার পাশাপাশি হাওয়া সিটি পুলিশের তরফেও একগুচ্ছ বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যাবে বেলুড় মঠ দর্শনে। তারপর রেসকোর্সে ফিরে সেখান থেকে কপ্টারে চেপে যাবেন শান্তিনিকেতনে। আর সেই কারণেই কলকাতা এবং হাওড়া শহরকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই কলকাতা শহরে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দুপুর ১২টা নাগাদ শান্তিনিকেতনে নামবে রাষ্ট্রপতির কপ্টার। কলকাতা থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় শান্তিনিকেতনের বিনয় ভবন সংলগ্ন কুমিরডাঙার মাঠে পৌঁছবেন মুর্মু। রবীন্দ্র ভবন, কলাভবন ও আশ্রম প্রাঙ্গণ পরিদর্শনের পর দুপুর ৩টেয় আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন তিনি।
গতকাল রাষ্ট্রপতি বাংলা শুভেচ্ছা জানান রাজ্যবাসীকে। বলেছেন, বাংলা ভাষা যখনই তাঁর কানে যায়, তখনই যেন তাঁর মনে হয় তিনি নিজের গ্রামের কাছাকাছি রয়েছেন। বাংলা ভাষার মিষ্টতাও বার বার উঠে এসেছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কথায়।