
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েকদিন পর মঙ্গলবার পাঞ্জাবের আদমপুর এয়ারবেস পরিদর্শনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে ভারতীয় বায়ুসেনার জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জওয়ানদের সাহসিকতারও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত ৯ মে মধ্যরাতে ভারতের অপারেশন সিঁদুর-এর পাল্টা পাকিস্তান দেশের বিভিন্ন এয়ারবেসে হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রত্যেকটি হামলার কড়া জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান যে সমস্ত এয়ারবেসকে টার্গেট করেছিল তার মধ্যে ছিল পাঞ্জাবের আদমপুর এয়ারবেসও।
ভারতের উন্নতমানের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয় পাকিস্তানের হামলাকারী ড্রোনকে। প্রসঙ্গত, এর আগে পাকিস্তান দাবি করেছিল, তাদের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হাইপারসনিক মিসাইলের আঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ভারতের অত্যাধুনিক এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। কিন্তু সেই দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দেয় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ফলে, হামলার কোনও আঁচই পড়েনি সীমান্তবর্তী এলাকায়। এদিন, প্রধানমন্ত্রী আদমপুরে গিয়ে জওয়ানদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন।

https://x.com/narendramodi/status/1922184749277208713?t=SpTo-5mC_7_n2Zqkl12StQ&s=19
সেখান থেকে ফিরে দিল্লিতে নিজের বাসভবনে অজিত ডোভালের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। উল্লেখ্য, সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী অপারেশন সিঁদুর-এর সাফল্যের পর দেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি, কড়া বার্তা দেন পাকিস্তানকেও। বলেন, পহেলগাঁওয়ের প্রত্যাঘাতে বিশ্ব ভারতের প্রতিজ্ঞাকে পরিণামে বদলাতে দেখেছে। ভারতের সেনা পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি, ট্রেনিং সেন্টারে হামলা চালিয়েছে।

তারা স্বপ্নেও ভাবেনি ভারত এতবড় সিদ্ধান্ত নেবে। তাঁর কথায়, ‘সন্ত্রাস-বাণিজ্য, সন্ত্রাস-আলোচনা যেমন কখনও একসঙ্গে হয় না তেমনই রক্ত আর জল কখনও একসঙ্গে বইতে পারে না’। সম্প্রতি, অপারেশন সিঁদুরে মুরিদকে এবং ভাওয়ালপুরে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের মূল ঠিকানা এই জায়গাগুলো।

বলা ভাল, গ্লোবাল টেররিজমের ইউনিভার্সিটি। বিশ্বের যে কোনও জায়গায় যা কিছু বড় হামলা হয়েছে, সবকিছুর সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে এই জায়গার যোগাযোগ রয়েছে। অপারেশন সিঁদুর গোড়া থেকে উপড়ে ফেলেছে সেই আতঙ্ককে’।