

বন্যা ও ধসে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেরাদুন বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যকলাপ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করেন। তারপরই ঘোষণা করেন ১,২০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের।

উত্তরাখণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও পুনর্বাসনের জন্য এই টাকা খরচ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ত্রাণ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা করে।

এ ছাড়া, এই দুর্যোগে যেসব শিশু অনাথ হয়েছে, তাদের জন্য থাকছে বিশেষ সহায়তা। পিএম কেয়ার্স ফর চিলড্রেন প্রকল্পের আওতায় তাদের সম্পূর্ণ সুরক্ষা ও দেখভালের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র।

এ দিন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বিপর্যস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন, তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের কাজের প্রশংসা করেন এদিন।
কেন্দ্র জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের জন্য বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হবে পিএম আবাস যোজনার মাধ্যমে। ধসে ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, স্কুল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো পুনর্গঠনে পুরোপুরি সাহায্য করবে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে আরও সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্যাকেজকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজির নেতৃত্বে আমাদের ডাবল ইঞ্জিন সরকার রাজ্যের বিপর্যস্ত মানুষের ত্রাণ, পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই দুর্দিনে প্রধানমন্ত্রীজির অমূল্য সাহায্যের জন্য সমগ্র রাজ্যের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’