Air India Plane Crashes in Ahmedabad
আমদাবাদে ভেঙে পড়ল লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, ২৪২ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৭ নাগাদ আমদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে ওড়ার সময় দুর্ঘটনাটি হয়। একদম বিমান বন্দরের শেষ প্রান্তে গিয়ে আগুন লাগে।
আহমেদাবাদ: কালো ধোঁয়া ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। দেশের আকাশে নতুন বিপর্যয়। আমদাবাদে ভেঙে পড়ল (Ahmedabad Plane Crash) এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান (Air India Plane Crash)। ২৪২ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা (242 passengers death)। টেক অফের পরই ভেঙে পড়ে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রীবাহী বিমানটি এয়ার ইন্ডিয়ার। যা সবে মাত্র আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ান নিয়ে যাচ্ছিল লন্ডনের দিকে। কিন্তু আকাশছোঁয়ার ক্ষণিকের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটি।
তবে কী কারণে বা কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সেই নিয়ে এখনও কোন সবিস্তারে তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছছে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। গুগল ম্যাপস বলছে, ঘটনাস্থল থেকে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল বিমানবন্দরের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার।
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৭ নাগাদ আমদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে ওড়ার সময় দুর্ঘটনাটি হয়। একদম বিমান বন্দরের শেষ প্রান্তে গিয়ে আগুন লাগে। মনে করা হচ্ছে, টেক অফের সময় গাছে ধাক্কা লাগে বিমানটির পিছনের অংশ। তাতেই আগুন লেগে যায়। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। বিমান থেকে সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এই প্রস্ঙ্গে বিমান চালক ক্যাপ্টেন অনিন্দ্য বিশ্বাস সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘খবর পেলাম এটি বোয়িং এআই ১৭১ বিমান। এটা আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের দিকে যাচ্ছিল। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও ঠাওর করা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিক ভাবে বলতে পারি, ইঞ্জিন কেন্দ্রীক কোনও সমস্যা ছিল। যে কারণে চালক হয়তো সামাল দেওয়ার সময়-সুযোগ কোনওটাই পাননি।’
বিশ্বস্ত সূত্রে তথ্য মিলেছে, সম্ভবত উড়ান নেওয়ার পরেই বিমানের পিছনের অংশ একটি গাছে ধাক্কা মারে। যার জেরে বেসামাল হয়ে আকাশ থেকে খসে পড়ে বিমানটি। এদিন এই প্রসঙ্গে ক্যাপ্টেন অনিন্দ্য বিশ্বাস বলেন, ‘যদি উড়ানের পথে সত্যিই কোনও গাছ থাকে, বিমানের চালক কখনওই উড়ান নেবেন না। তবে গোটা ব্যাপারটাই এখনও তদন্তসাপেক্ষ।’
এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি দুর্ঘটনার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মেঘানিনগর এলাকায় থাকা বিমানবন্দরের আশপাশের বাড়িও।
আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে গোটা বিমানই প্রায় পুড়ে ছাই। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিমানের অংশ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। বিমানবন্দরের সমস্ত রাস্তা ও গেট আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেহেতু লন্ডন যাচ্ছিল তাই প্রচুর পরিমাণে জ্বালানি ছিল উড়ানের সময়। এত পরিমাণ জ্বালানি থাকার ফলেই আগুনের তীব্রতা এতটা বেশি।
ঠিক কী কারণে এভাবে আগুন লেগে ভেঙে পড়ল বিমান, তা এখনই জানা যায়নি। গাছে ধাক্কা লাগার পাশাপাশি যান্ত্রিক গোলযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।